পুজোর পরে কোভিডের (Covid-19) বাড়বাড়ন্তে চিন্তিত সব মহল। গত দিন কয়েকের মধ্যে যেভাবে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে অনেকেই করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের (Third Wave) পূর্বাভাস বলেছেন। এমন অবস্থায় সব মহলের বাড়তি চাপে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন উঠেছে নভেম্বরের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে কি স্কুল খুলছে? এর উত্তর না মিললেও শিক্ষা দফতরের আগাম প্রস্তুতি দেখেই সব মহলের ধারণা স্কুল খোলার জন্য সব ধরণের চেষ্টা চালাচ্ছে শিক্ষা দফতর।
উল্লেখ্য, এরমধ্যেই শনিবার উচ্চ শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে জেলা স্কুল পরিদর্শকদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একটি বৈঠক হয়েছে। তাতেই একাংশ যথেষ্ট আশাবাদী স্কুল খোলার বিষয়ে। এর পাশাপাশি আগামী ২৭ অক্টোবরের মধ্যেই সমস্ত স্কুলকে স্যানিটাইজেশন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, জীবাণুনাশের পর নবম থেকে দ্বাদশের পড়ুয়ার অভিভাবকদের ডেকে তা দেখাতেও বলা হয়েছে। এর থেকেই একাংশের তীব্র জল্পনা শীঘ্রই স্কুল খুলছে। পাশাপাশি নবম থেকে দ্বাদশের পড়ুয়াদের আধার কার্ড বাংলা শিক্ষা পোর্টালে আপলোড করতে বলা হয়েছে। এর থেকেই ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা কেন্দ্রের সবুজ সংকেত মিললেই নবম থেকে দ্বাদশের পড়ুয়াদের টিকাকরণের কাজও শুরু করতে প্রস্তুত রাজ্য। সব মিলিয়ে স্কুল খোলার যে তীব্র তোড়জোড় শুরু হয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।
এমন অবস্থায় চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নতুন সংক্রমণ। গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছুঁই ছুঁই। মৃত্যুর হারও বাড়ছে। আক্রান্তের নিরিখে কলকাতা সবার আগে। ডবল ডোজ টিকাকরণের পরেও করোনা আক্রান্তের ঘটনায় চিকিৎসক মহলে বাড়তি চিন্তা তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের অসচেতন ও বেপরোয়া মনোভাবই দায়ী বলছেন একাংশ। স্কুল খোলার গোটা বিষয়টি নির্ভর করছে আগামী কয়েক দিনে গোটা রাজ্যে কোভিড সংক্রমণের হার কোন জায়গায় পৌঁছায়, তার উপর। তবে রাজ্য সব ধরণের প্রস্তুতি সেরে রাখতে বদ্ধপরিকর।