উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা হল আজ। আর বালিগঞ্জের ফলাফল দেখে এই তপ্ত দুপুরে স্বস্তির পালে হাওয়া লাগল বামেদের। বালিগঞ্জ কেন্দ্রে বামফ্রন্টের হয়ে লড়াই করছিলেন সায়রা শাহ হালিম। তিনি প্রয়াত সিপিএম নেতা তথা বিধানসভার স্পিকার হাসিম আবদুল হালিমের পুত্রবধূ ও ফুয়াদ হালিমের স্ত্রী। অতীতে স্বামী বা পরিচিতদের হয়ে ভোটের প্রচারে নেমেছেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে আন্দোলনেরও একেবারে প্রথম সারিতে ছিলেন, তবে ভোটের ময়দানে এই প্রথমবার। আর এসেই সুখবর শুনিয়ে দিলেন ম্যাডাম সায়রা।
না, জেতেননি সায়রা শাহ হালিম, জিতবেন এমন আশাও করেননি। তবে দুটি লক্ষ্য নিয়ে আশায় বুক বেঁধে নেমেছেন প্রত্যক্ষ ভোটের লড়াইতে। এক, ২১-এর নীলবাড়ির লড়াইয়ে সিপিএম প্রার্থী তথা স্বামী ফুয়াদ হালিমের প্রাপ্ত ভোটের অঙ্ক টপকানো। দুই, বালিগঞ্জ বিধানসভার নিরিখে গত বছরের কলকাতা পুরসভা ভোটে বামেদের প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করা। আর ফলাফলে দেখা গেল দুটি লক্ষ্যই পূর্ণ করেছেন তিনি।
বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রধান বিরোধী বিজেপি প্রার্থীকে প্রায় ১৮ হাজার ভোটে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছেন সায়রা এবং ইতিহাস বলছে ২০০৬ সালের পর এই প্রথমবার বামেদের ভোটব্যাঙ্ক এগোচ্ছে ধীরে ধীরে। যদিও জিতে গেলেন দলবদলু তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয়। তবে লড়াই তো কেবল বাবুলের বিরুদ্ধে নয়, দক্ষিণ কলকাতায় তৃণমূলের প্রবল সাংগঠনিক শক্তির বিরুদ্ধেও। ভাঙাচোরা সংগঠনের লাল ঝান্ডা কাঁধে তুলে কসুর করেননি প্রচারের। যেদিন থেকে নাম ঘোষনা হয়েছিল, দিনরাত এক করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। রাজনীতির ভোটের অঙ্কে হেরে গেলেও লড়াইয়ের পথে স্নেহাশীষ কুড়োচ্ছেন সায়রা। নিজের প্রথম নির্বাচনী লড়াইয়ে এটাই কি বড় প্রাপ্তি নয়?