করোনার প্রকোপে অতিষ্ঠ গোটা দেশ, কেটে গেছে গোটা একটা বছর। আর তার মধ্যেই এখন মুখ্য আলোচ্য বিষয় করোনা ভ্যাকসিনকে কেন্দ্র করে। ভ্যাকসিন কীভাবে কাজ করে মানব শরীরে? ভ্যাকসিনের মেয়াদই বা কতদিনের? ভ্যাকসিন প্রয়োগই বা কতটা সফল?
আর এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই মূলত গবেষণা করলেন আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও অধ্যাপকরা। এমনকি তাঁদের রিসার্চ ওয়ার্ক স্বীকৃতি পেল আমেরিকান জার্নাল 'ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ মেডিক্যাল ভাইরোলজি'তে।
তাঁদের রিসার্চ ওয়ার্কে যুক্তি সহকারে দাবি করা হয়েছে, "এই ভ্যাকসিনটি মানব শরীরের পক্ষে নিরাপদ ও সফল কার্যকরী। ভ্যাকসিন যখন শরীরে প্রবেশ করে তখন তাকে চিনে নেয় আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেম। তৈরি হয় অ্যান্টিবডি। যদি অ্যান্টিবডি আগে তৈরি হয়ে যায় তাহলে করোনা প্রতিরোধ সম্ভব।”
এ বিষয়ে ডক্টর সুপ্রভাত মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা রিসার্চের মাধ্যমে জানতে পেরেছি ভাইরাস যখন শরীরে প্রবেশ করে তখন প্রথমে আক্রান্ত হয় ফুসফুস। সেখানে আমাদের ইমিউন সিস্টেমের কিছু সেল বা কোশ আগে থেকেই আছে। এই কোশকে বলা হয় ‘অ্যাভেলর ম্যাক্রোফেজ’। এই অ্যাভেলর ম্যাক্রোফেজে থাকে টিএলআর নামক প্রোটিন। এই প্রোটিনগুলিই হল ভাইরাসের আরএনএ, যা ভ্যাকসিনে দেওয়া আরএনএকে চিনে নেয়। তারপরই তৈরি হয় অ্যান্টিবডি।”
গবেষকরা আরও বলেন, আমাদের দেশে জেনেভা তৈরি “এইচজিকোভ ১৯” ভ্যাকসিনও একই প্রক্রিয়ায় তৈরি ও মানব শরীরে ভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করবে।