বগটুই কান্ডে (Bogtui Incident) মৃত্যু হল আরও একজনের। সোমবার সকালে রামপুরহাট (Rampurhat) হাসপাতালে মারা গেলেন নাজমা বিবি। সরকারি হিসেবে এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯।
সূত্রের খবর, ২১ মার্চ রাতে নাজমা বিবির বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। তারপরেই আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বর্তমানে সিবিআই তদন্ত চলছে। সিবিআই তদন্তের তৃতীয় দিনে ফের প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে। আর তার মধ্যেই সোমবার সকালে প্রাণ হারালেন বছর চল্লিশের নাজমা বিবি।
নাজমা বিবির শরীরের অন্তত ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। শরীরের বেশিরভাগ অংশ অগ্নিদগ্ধ হয়ে যায়। এতদিন রামপুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল রাতেই আচমকাই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। যদিও শেষরক্ষা হল না। সোমবার সকালেই তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামপুরহাট গিয়েছিলেন। নিহতদের পরিবারের বাকি লোকজনদের সঙ্গে তিনি দেখাও করেন। তারপর রামপুরহাট হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজখবর নেন। আহতদের চিকিৎসাবাবদ তিনি আর্থিক সাহায্য তুলে দেন। নাজমা বিবি তাঁদের উপর অত্যাচারের কথা জানিয়েছিলেন। যদিও কোনভাবেই তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হল না।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রামপুরহাটের (Rampurhat) এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখের মৃত্যু হয়। আর তারপর থেকেই গোটা এলাকা উত্তপ্ত হতে থাকে। তারপরেই রাতের অন্ধকারে বগটুই (Bogtui) গ্রামের ১০ টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় শিশু, মহিলা-সহ অন্তত ৮ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। বিরোধীদের অভিযোগ মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। ঘটনার পর ধীরে ধীরে উত্তেজনা বাড়তেই থাকে। হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা দায়ের করে। রাজ্যের তরফে গঠিত হয় সিট। আর তার প্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। নির্দেশের পরেই অতি সক্রিয়তার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই তদন্ত করছে। আর তার মধ্যেই সোমবার সকালে মারা গেলেন নাজমা বিবি।