এবারে বীরভূমের রামপুরহাটের ঘটনায় তদন্ত শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই (CBI)। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারের গঠন করা সিটকে তদন্ত থেকে সরিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নেয়। তদন্তের ভার দেওয়া হয় সিবিআইকে। তারপর বীরভূমের ওই গ্রামের ৮ জনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় মামলা দায়ের করে সিবিআই। এদিন রাত্রেই সিবিআই এর একটি দল বীরভূমের উদ্দেশ্যে রওনা হবে বলে সূত্রের খবর। সিবিআই এ নির্দেশ পাওয়ার পর সিজিও কম্প্লেক্সে একটি বৈঠকে বসেছে সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি পদমর্যাদার একজন আধিকারিক। কোন পদে তদন্ত এগোবে সেই নিয়ে বৈঠক করলেন তারা।
সূত্রের খবর, হাইকোর্টের নির্দেশের কপি হাতে পাওয়ার পরেই এই মামলায় তদন্ত শুরু করে সিবিআই। রাজ্যের বিশেষ তদন্তকারী দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফ থেকে। রাজ্য সরকারের এই তদন্তকারী দলের তরফ থেকে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল সেই এফআইআর এর কপি চেয়ে পাঠানো হয়। অন্যদিকে সিবিআই সূত্রের খবর, তদন্তকারী দলের শীর্ষ থাকছেন জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার একজন আধিকারিক। এছাড়াও ১০ জনের একটি দল এই ঘটনায় তদন্ত করবে বলে জানা গিয়েছে।
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারে রামপুরহাট এর বগটুই গ্রামে ৮ জনকে আটকে রেখে পুড়িয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এর আগেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা ভাদু শেখকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতি এই ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট দোলাচলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সঠিক বিচারের আশ্বাস দিয়েছিলেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বাম বিজেপির দুটি প্রতিনিধি দল। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) নিজেও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন রাজ্য যেনো দোষীদের ক্ষমা না করে। পাশাপাশি নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে এই ঘটনার একটি রিপোর্ট তলব করা হয়েছে রাজ্যের কাছ থেকে। স্থানীয়দের অভিযোগ এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য চালাতেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ (Bhadu Sheikh) তার প্রধান প্রতিপক্ষ ছিলেন আনারুল হোসেন। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নির্দেশের পর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।