স্ত্রীর সঙ্গে তেমন বনিবনা নেই। বিয়ের পর থেকেই উভয়ের মধ্যে ঝামেলা লেগেই থাকত। দিনরাত অশান্তির কারণে সারা পাড়া উজাড়। কিন্তু রাগের কোপ পড়বে যে দু'মাসের শিশুর উপর কে তা জানত!
ঘটনাটি পুরুলিয়ার টামনা থানার গুড়কুর গ্রামের। এই গ্রামের বাসিন্দা সাগর রুইদাসের সঙ্গে বছর দেড়েক আগে বলরামপুরের ছোট গোদো গ্রামের নেহারি রুইদাসের বিয়ে হয়। তাঁদের একটি মাস দুয়েকের শিশু সন্তান ছিল। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই উভয়ের সঙ্গে ঝামেলা লেগেই থাকত। বিয়ের পর মদ্যপ অবস্থায় সাগর রুইদাস স্ত্রীকে মারধর করতেন বলে অভিযোগ।
সূত্রের খবর, গতকাল নেহারির বাপের বাড়ির লোকজন এসেছিলেন মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। সেই সময় স্বামী সাগর বাপের বাড়ি যেতে বাধা দেন। উভয়ের মধ্যে ফের তর্কাতর্কি শুরু হয়। আচমকাই সাগর রুইদাস উঠে গিয়ে শিশু সন্তানকে বিছানা থেকে তুলে আছাড় মারে। দৃশ্য দেখে সবাই চমকে ওঠেন। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে শিশুটি। তাকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে বলেন সে মৃত।
ঘটনার পর মা নেহারি শোকে পাথর হয়ে যান। থানায় গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকেই পলাতক স্বামী সাগর রুইদাস। যুবকের এমন কীর্তিতে হতবাক স্থানীয় লোকজন। পুলিশ সূত্রে খবর, পলাতক সাগর রুইদাসের বাবাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্ত।