এবার বাংলার বুকে বর্ধমান জেলায় এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ছাত্রী এবং তার মাকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠল। এই ঘটনার জেরে প্রথমে বচসা লেগে যায় দুই অধ্যাপক ও তাদের স্ত্রীদের মধ্যে। সেই বচসা গড়ায় হাতাহাতি অব্দি এবং শেষ পর্যন্ত স্থানীয় পুলিশকে এসে তাদের গ্রেপ্তার করতে হয়। আসলে ঘটনাটি কি? বর্ধমান জেলার রাজ কলেজের ইংরেজি অধ্যাপক বিশ্বনাথ সাহা এবং অন্যদিকে বর্ধমান পলিটেকনিক কলেজের অধ্যাপক অভিজিৎ চক্রবর্তী। অভিজিৎ চক্রবর্তীর মেয়ে রাজ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। সম্প্রতি অনলাইন ক্লাস চলায় অভিজিৎ চক্রবর্তীর মেয়ের সাথে বিশ্বনাথবাবুর ফোনে যোগাযোগ আছে এবং সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ঠ। জানা গিয়েছে, বিশ্বনাথবাবু গতকাল তার ছাত্রীর হাই প্রেসার আছে জানতে পেরে প্রেসার মাপার যন্ত্র নিয়ে অভিজিৎ বাবুর বাড়িতে উপস্থিত হন। তখন অভিজিৎবাবু বাড়িতে ছিলেন না। সেই সুযোগে বিশ্বনাথ তার ছাত্রী ও তার মায়ের প্রেসার মাপে। তবে মা ও মেয়ের অভিযোগ, ওই অধ্যাপক প্রেসার মাপার অছিলায় তাদের শ্লীলতাহানী করে।
শ্লীলতাহানীর কথা মা ও মেয়ে পরদিন অভিজিৎ বাবুকে জানালে তিনি মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বিশ্বনাথের বাড়িতে উপস্থিত হয়। বাড়িতে উপস্থিত হতেই রাজ কলেজের অধ্যাপক ও পলিটেকনিক কলেজের অধ্যাপক এবং তাদের স্ত্রী রা বচসায় লিপ্ত হয় এবং শেষ পর্যন্ত হাতাহাতি অব্দি শুরু হয়ে যায়। ঘটনাটির খবর পেয়ে বর্ধমান পুলিশ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ সেখান থেকে সস্ত্রীক দুই অধ্যাপককে থানায় নিয়ে যায় এবং পরে গ্রেফতার করে। অন্যদিকে আবার বিশ্বনাথবাবু ও তাঁর স্ত্রী অভিজিত বাবুর ওপর শ্লীলতাহানীর অভিযোগ এনেছে।