নিয়ম ভেঙে বারবার সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রাইভেট টিউশনের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন প্রাইভেট টিউটর সংগঠনের সদস্যদের এ নিয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে। এমনকী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার গোটা বিষয়টি নিয়ে দরবার করেছেন তাঁরা। এবার রাজ্যের পাঁচ জেলার ৬১ জন প্রাথমিক শিক্ষককে পড়তে হল তদন্তের মুখে। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সবুজ সংকেত দিয়েছে বিকাশ ভবন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি অনেক শিক্ষককে প্রাইভেট টিউশন করতে দেখা যায়। রাজ্য সরকারের তরফে এ নিয়ে বহুবার তাঁদের সতর্ক করা হয়েছিল। যদিও রাজ্যের প্রতিটি জেলায় রমরমিয়ে চলছে এমন প্রাইভেট টিউশনি। বেকার যুবক-যুবতীদের অভিযোগ, স্কুল শিক্ষকরা মোটা মাইনে পান। তারপরও যদি প্রাইভেট টিউশন পড়ান, তাহলে তাঁরা জীবন চালাবেন কীভাবে? আর স্কুল শিক্ষকদের এই প্রাইভেট টিউশনের টাকা কি আদৌ আয়কর দফতরের আওতায় যায়? এ নিয়ে কম বিক্ষোভ হয়নি। বিভিন্ন প্রাইভেট টিউটর সংগঠন এ নিয়ে বহুবার বহু আন্দোলন করেছে। তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা জানিয়েছেন। এবার সরাসরি রাজ্য সরকারের তরফে সেইসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
আপাতত পাঁচ জেলা নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগণা, কোচবিহার, পুরুলিয়া এবং বীরভূমের এমন ৬১ জন প্রাথমিক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিকাশ ভবনের তরফে সংশ্লিষ্ট জেলার ডিআই অফিসারদের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে তাঁদের সতর্ক করা হবে। দিতে হবে মুচলেকা। তারপরও না শুনলে সরাসরি বরখাস্ত করা হতে পারে।
এভাবে কি এই প্রাইভেট টিউশনের চক্র বন্ধ করা যাবে? সমাজের একাংশের অভিযোগ কেবল এই পাঁচ জেলা নয় অধিকাংশ জেলাতেই এই কাণ্ড ঘটছে। এক একজন শিক্ষক প্রাইভেট টিউশন পড়িয়ে মাসে যে বাড়তি টাকা রোজগার করেন, তা তাঁর বেতনের চেয়েও বেশি। প্রশ্ন উঠেছে এই বাড়তি টাকাগুলি কি আদৌ আয়করের আওতায় পড়ে? যদি না পড়ে, তাহলে তো তাঁরা ঘোরতর অপরাধ করছেন। সেই সব শিক্ষকদের তো কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত বলে মনে করছেন বেকার যুবক-যুবতীদের একাংশ।