গতকাল শতাব্দী রায়ের পাশাপাশি ছন্দে ফেরেন হাওড়ার তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ও। অভিযোগ করেন জেলাস্তরের দলীয় পদের রদবদল থেকে শুরু করে দলীয় কর্মসূচি বা পরিকল্পনাতে পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রেও তার সাথে যোগাযোগ করেনি দল। নিজে মুখে আক্ষেপ করে বলেন, "আমি তিন বারের সাংসদ, ন'বছর হাওড়ায় আছি। আমাকে সাংগঠনিক রদবদলের কোনও খবর জানানো হয় না। কে যুব মোর্চার সভাপতি, কে মহিলা মোর্চার সভানেত্রী, কে ছাত্র পরিষদের সভাপতি - কিছুই জানি না। আমার কাছে তারা এসে পরিচয় দেন। সাংসদ তহবিলের টাকায় কাজ করার আবেদন করেন। কিন্তু মানুষগুলোকে তো আমি চিনিই না। সাংসদকে কি এটুকু তথ্য জানানো দলের কর্তব্য নয়?" এমনকি লক্ষীরতনকে হাওড়ার তৃণমূল সভাপতি ঘোষণা করলে সেটিও দল নয়, সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পারেন তিনি। পরামর্শ না নিলেও তাকে অন্তত একটি 'এসএমএস' করেও জানাতে পারে দল, দুঃখ করে বলেন। তবে অভিমান-অভিযোগ থাকলেও দলবদল করছেননা প্রসূনবাবু।
এর আগে রাজ্য বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ নাম না করেই হাওড়ার ফুটবলার সাংসদের বিজেপিত যোগ দেবার আভাস দেন। সে প্রশ্নে প্রসূনবাবু স্পষ্ট জবাব দেন,"আমি পার্টি ছেড়ে পালাব না। এমন তো সৌমিত্র খাঁ সব সময়ই বলে। ও বাচ্চা ছেলে। তবে এই বালখিল্যটা না করলেই পারে। আমার তো একটা সম্মান রয়েছে!" চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন তৃণমূলই জিতবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই পুনরায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসবেন।