পূর্ব এশিয়া, চিন ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বব্যাঙ্ক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ২৯ সেপ্টেম্বর৷ এতে বলা হয়েছে, অতিমারির ধাক্কায় এই অঞ্চলের প্রায় ৩ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ নেমে যেতে পারেন গরিবি রেখার নিচে।
অতিমারির দাপটে গোটা দুনিয়াই আজ দারিদ্রের গ্রাসে৷ গত জুন মাসে বিশ্বব্যাঙ্ক জানিয়েছে, বিশ্ব জুড়ে প্রায় ১০ কোটি মানুষ চরম আর্থিক দুর্দশায় পড়তে চলেছেন৷ ভারতের অবস্থাও তথৈবচ৷ রাষ্ট্রসংঘের গত বছরের হিসাব বলছে এ দেশে গরিবি রেখার নিচে রয়েছেন ৩৬ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ যা মোট জনসংখ্যার ২৮ শতাংশ৷ করোনা অতিমারির আক্রমণ যে সেই সংখ্যা আরও অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ অথচ সম্পত্তি পরিচালন সংস্থা আইআইএফএল ওয়েলথ ও গবেষণা সংস্থা হুরুনের ২৯ সেপ্ঢেম্বরের রিপোর্ট বলছে, ভারতেই, এই অতিমারি কালে এশিয়ার ধনীতম শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির ব্যক্তিগত সম্পদ বেড়েছে ৭৩ শতাংশ৷ এখন তিনি ৬.৫৮ লক্ষ কোটি টাকার মালিক হয়ে বিশ্বের চতুর্থ ধনীতম মানুষ৷ পিছিয়ে নেই গুজরাটের আদানি গোষ্ঠীর কর্তা গৌতম আদানিও৷ তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদ ৪৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১.৪০ লক্ষ কোটি টাকা৷ ভারতের বিত্তবানদের এই তালিকায় নাম উঠেছে মোট ৮২৮ জন শিল্পপতির৷
অর্থাৎ পুঁজিপতিদের সম্পদের হিসাবে ভারতের ছবিটা বেশ উজ্জ্বল৷ কিন্তু এই ক’জন শিল্পপতির বিপুল সম্পত্তির চোখ–ধাঁধাঁনো উজ্জ্বলতার নিচে পড়ে রয়েছে যে গরিব ভারত, তার অন্ধকার যে ক্রমশই গাঢ় হচ্ছে! ইতিহাস বলে, মানুষে মানুষে এমন বিপুল বৈষম্য সমাজের সুস্থিতির পক্ষে ভালো নয়৷ বিষয়টা সমাজবিজ্ঞানীরা ভেবে দেখছেন তো?