চলতি বছরের এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসের (Corona Virus) দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। কিছুদিন ধরে সংক্রমনের লাগামছাড়া গতি উদ্বেগে ফেলেছিল গোটা দেশবাসীকে। বেহাল অবস্থা ছিল বাংলারও। কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরে লকডাউন বা কড়া বাধানিষেধের জন্য রাজ্যজুড়ে সংক্রমণ কিছুটা কমেছে। তবে মনে রাখা দরকার যে সংক্রমণ কমলেও করোনা নির্মূল হয়নি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে পরবর্তী করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য পিএম কেয়ার ফান্ডের (PM Care Fund) বরাদ্দ থেকে তৈরি হবে ২ টি হাসপাতাল। বহরমপুর (Berhampore) এবং কল্যাণীতে (kalyani) হাসপাতাল তৈরি করবে কেন্দ্রের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা DRDO। ইতিমধ্যেই পিএম কেয়ার ফান্ড থেকে এই হাসপাতাল তৈরীর জন্য ৪৯ কোটি ৬২ লাখ টকা বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আসলে রাজ্যে ডিআরডিও পরিচালিত করোনা হাসপাতাল তৈরীর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি বহরমপুরে ১০০০ শয্যার হাসপাতাল তৈরীর আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন মঞ্জুর করে বহরমপুরে হাসপাতাল তৈরির জায়গা দেখতে আসে ডিআরডিও আধিকারিকরা। তারা জানিয়েছে পর্যাপ্ত জায়গার ব্যবস্থা না হওয়ায় আপাতত বহরমপুর এবং কল্যাণী দুই শহরে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল তৈরি করা হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলা ছাড়াও বিহার, দিল্লি, জম্মু এবং শ্রীনগরে কোভিড হাসপাতাল তৈরির জন্য অর্থ সাহায্য করছে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল অর্থাৎ পিএম কেয়ার ফান্ড।