সুন্দরবনে (Sundarban) হানাদার জলদস্যুর তাণ্ডব। হাড়হিম গল্প নয়, বাস্তব সত্য ঘটনাই প্রকাশ্যে এল। নৌকা অপহরণের পরেও প্রাণে বাঁচলেন তিনজন, সঙ্গে উদ্ধার হল নৌকাটিও। কীভাবে সম্ভব হল?
বারুইপুর জেলা পুলিশ (Baruipur District Police) সূত্রে খবর, গত ৫ জুন বসিরহাট থেকে একটি নৌকা প্রায় ২৩ হাজার ইট নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগণার মৈপীঠের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। নৌকার সঙ্গে ছিলেন তিনজন হান্নান মণ্ডল, ইমাম মণ্ডল এবং আরিফুল মোল্লা। তিনজনেই বাড়ি বসিরহাট। রাত হয়ে যাওয়ার কারণে গোপালগঞ্জ এলাকার কুলিপাড়া টেঁক নামক জায়গায় নোঙর করা হয় ইটবোঝাই নৌকার। উদ্দেশ্য ছিল সকাল হলেই ফের মৈপীঠের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া যাবে। কিন্তু সেই রাতের অন্ধকারেই ঘটে যায় রোমহর্ষক ঘটনা।
একদল হানাদার জলদস্যুর কবলে পড়েন নৌকার এই তিনজন। নৌকা-সহ তাঁদের অপহরণ করে সেই জলদস্যুর দলটি। এদিকে রাত থেকেই তাঁদের সঙ্গে কোনভাবে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। বাধ্য হয়ে সকাল সকাল নৌকার মালিক ইয়াদ মণ্ডল কুলতলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার খবর পেয়েই তদন্তে নামে কুলতলি থানার বিশেষ পুলিশ বাহিনী।
সূত্রের খবর, কয়েক ঘন্টা তদন্তের পর ঝড়খালির জঙ্গলের মধ্যেই খুঁজে পাওয়া যায় সেই তিন ব্যক্তিকে। যদিও তাঁদের প্রাণে মেরে ফেলা হয়নি, তবুও তাঁদের শরীরে মারধরের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। রাতের অন্ধকারে উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাট-সহ প্বার্শবর্তী এলাকা থেকে ইট, বালি, পাথর প্রভৃতি নদীপথে নিয়ে যাওয়ার চল আছেই। বিভিন্ন নৌকা দায়িত্ব নিয়ে এই কাজগুলি করে থাকে। এমন হানাদার জলদস্যুর ঘটনা অনেক দিন ঘটেনি। ফের এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে আটক করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে নৌকাটিও।