শুক্রবার বিকেল থেকে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ঠিকানা আলিপুরের (Alipore) মহিলা সংশোধনাগার। প্রথমদিন একা থাকলেও বর্তমানে আরও ২০ জন বন্দীর সঙ্গে একটি সেল শেয়ার করছেন পার্থর বিশেষ বান্ধবী। আর সেখানেও রীতিমতো ভিআইপি ট্রিটমেন্ট পাচ্ছেন বাকি কয়েদিদের থেকে। জানা গিয়েছে, কেউ তার জামাকাপড় কেচে দিচ্ছে, আবার কেউ বিছানা পেতে দিচ্ছে। জেলেও সেলিব্রিটির মতোই রয়েছেন তিনি।
ইডির হেফাজত কাটিয়ে যখন আলিপুর কারাগারে উঠেছিলেন, প্রথমদিকে বেদম কান্নাকাটি করেছেন তিনি। কিন্তু দিন যত এগোয় ততই চিত্রটা পাল্টাতে থাকে। বর্তমানে তাকে জেলের বাকি কয়েদিরা বেশ সন্তুষ্টিতেই রেখেছে। সহবন্দীরা তার অভিনীত ছবির সঙ্গে পরিচিত, তাই মডেল-অভিনেত্রীকে নিয়ে তাদের উন্মাদনার অন্ত নেই।
সোমবার অর্পিতার আইনজীবী দেখা করতে আসলে সে আমিষ খাবারের আবদার করে। তবে জেলে খাবার পরিবেশনের নির্দিষ্ট নিয়ম আছে, তা ব্যাতিরেকে তাকে আমিষ দেওয়া হবে কি না জানা নেই। পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতোই অর্পিতাও বই চেয়েছেন। প্রসঙ্গত, জেলে আসার পর থেকেই পার্থবাবু খবরের কাগজ ও বইয়ের আবদার করেছিলেন। সেই পথে হাঁটলেন পার্থসারথী অর্পিতাও। ইডির হেফাজতের তুলনায় এখানে তার মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে, এমনটাই দাবি চিকিৎসকদের।