উত্তর ২৪ পরগনায় নাকি করোনার প্রথম ডোজের টিকাকরনের হার প্রায় ১০০ শতাংশ, তেমনটাই জানাল জেলা প্রশাসন। আর এই নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক তরজা। জেলা প্রশাসন দাবী করেছেন, জেলার অধিকাংশ এলাকায় টিকাকরনের প্রথম ডোজ প্রায় সম্পূর্ণ হওয়ার মুখে।
জেলা প্রশাসনের কথায়, সামনেই বাঙালীর সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজা। তাই উৎসবের এই মরশুমে মানুষজন যাতে সংক্রমনমুক্ত থাকেন, সে কারনেই জোরকদমে চলছে টিকাকরন শেষ করার প্রক্রিয়া। তাঁরা জানিয়েছেন, উত্তর ২৪ পরগনার পুর এলাকাগুলির মধ্যে বিধাননগর, দমদম, পানিহাটি, মধ্যমগ্রাম, ব্যারাকপুর, বারাসাত, বনগাঁ সহ বেশ কিছু এলাকায় ইতিমধ্যেই ১০০ শতাংশ শেষ হয়েছে করোনা টিকাকরনের প্রথম ডোজ দেওয়ার কাজ। গ্রামাঞ্চলগুলির মধ্যে রাজারহাট, ব্যারাকপুর দু’নম্বর ব্লকে প্রায় ১০০ শতাংশ কাজ শেষ। এবিষয়ে দমদম পৌরসভার দাবী, প্রথমে তাঁরা সুপার স্প্রেডার, এবং পরে শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষজনদের বাড়ি গিয়ে টিকাকরনের ব্যবস্থা করেছেন। মধ্যমগ্রাম পৌরসভার কথায়, পৌরসভা এলাকাকে সঠিকভাবে বিন্যাস করে ধাপে ধাপে সুসংগঠিতভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া। একধাপ এগিয়ে বনগাঁ পৌরসভার দাবী, শুধুমাত্র ১০০ শতাংশ প্রথম ডোজ দেওয়াই নয়, টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়াও সম্পন্ন হয়েছে ৫০ শতাংশ।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলায় বাসিন্দার সংখ্যা ৮০ লক্ষেরও বেশি। তার মধ্যে ইতিমধ্যেই ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৫২ লক্ষ ৪৭ হাজার অধিবাসী। ভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ২০ লক্ষ ৫৫ হাজার মানুষ। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে বাকিদেরও টিকাকরনের কাজ চলছে বলেই দাবী প্রশাসনের। উল্লেখ্য, করোনার প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন সংক্রমণের শীর্ষে ছিল এই জেলা।
তবে প্রশাসনের এই দাবীর পরেই শাসক দলকে একহাত নিয়েছে বিজেপি। তাঁদের বক্তব্য, ‘এতদিন ধরে ভ্যাক্সিনের বণ্টন নিয়ে এরাজ্যের শাসকদল নিজেদেরকে ‘বঞ্চনার শিকার’ বলে দাবী করে এসেছেন। তাই যদি সত্যি হয়ে থাকে তো জেলা জুড়ে এতো বিপুল পরিমানে টিকাকরন সম্ভব হচ্ছে কি করে? তার মানে, শাসকদলের এতদিন ধরে করে আসা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা’। যদিও ইতিহাস বলছে, এরাজ্যে কম ভ্যাক্সিন পাঠানোর অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছিল খোদ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।