এতদিন কলেজ পড়ুয়া বিজ্ঞান বিভাগের (Science Department) ছাত্রীদের পাশে থাকার উদ্দেশ্য নিয়ে 'সিনিয়র বিজ্ঞানী কন্যা মেধা বৃত্তি' প্রকল্প চালু ছিল। স্কুলস্তরের ছাত্রীদের বিজ্ঞান বিষয়ে উৎসাহ জোগাতে এবার চালু হল 'জুনিয়র বিজ্ঞানী কন্যা মেধা বৃত্তি' প্রকল্প। জগদীশ বোস ন্যাশনাল সায়েন্স ট্যালেন্ট সার্চ দফতরের উদ্যোগে ছাত্রীদের বিজ্ঞান বিষয়ে উৎসাহ দেওয়ার জন্যই এই বৃত্তি দেওয়া হয়ে থাকে। বিজ্ঞান বিষয়ের পাশাপাশি প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং গণিত বিষয়েও এই বৃত্তি দেওয়া হয়। তবে সরাসরি এই 'মেধাবৃত্তি' পাওয়া যায় না। আবেদনের পর দিতে হয় পরীক্ষা, ফের ইন্টারভিউ। তারপর পাওয়া যায় এই বৃত্তির সুযোগ।
মাধ্যমিকে অন্তত ৭৫ শতাংশ নম্বর-সহ উচ্চ মাধ্যমিকে যেসকল ছাত্রীরা বিজ্ঞান বিভাগে পাঠরতা, তাঁরাই এই 'জুনিয়র বিজ্ঞানী কন্যা' মেধাবৃত্তির আওতায় যোগ্য। এই মেধাবৃত্তির আওতায় আসার আগে দিতে হবে 'জুনিয়র ট্যালেন্ট সার্চ টেস্ট'। তাতে পাশ করার পর থাকছে ইন্টারভিউ। তারপর নির্বাচিত হলেই পাওয়া যাবে এই মেধাবৃত্তির সুবিধা। সেই সঙ্গে 'সিনিয়র বিজ্ঞানী কন্যা' মেধাবৃত্তি প্রাপকদের মতোই মিলবে সারা বছর বিভিন্ন বিজ্ঞান কর্মশালায় অংশগ্রহণের সুযোগ। সঙ্গে প্রতি মাসে ১২৫০ টাকা বৃত্তি এবং বছরে এককালীন ৫০০০ টাকা পাওয়ার সুযোগ।
'সিনিয়র বিজ্ঞানী কন্যা' মেধাবৃত্তির পাশাপাশি ফের উচ্চ মাধ্যমিক পাঠরতা কন্যাদের জন্য এমন পৃথক মেধাবৃত্তির কারণ কী? সূত্র মারফত খবর, দেখা গেছে কলেজে বিজ্ঞান বিষয়ে পাঠরতা ছাত্রীদের সংখ্যা তুলনায় কম। ছাত্রীদের একটা বড় অংশ কলাবিভাগেই পড়তে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। এর পেছনে আছে আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রতিফলন। কলা বিভাগে টিউশন খরচ তুলনায় কম। তাই অনেক সময় বাধ্য হয়ে পড়ুয়া ছাত্রীদের একাংশ কলা বিভাগের কোন না কোন বিষয় বেছে নেন। এক্ষেত্রে স্কুলস্তর থেকেই ছাত্রীদের বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনার আগ্রহ বৃদ্ধির জন্য যদি এমন প্রকল্পের ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে কলেজ স্তরে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার আগ্রহ ছাত্রীদের মধ্যে বৃদ্ধি পাবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে 'সিনিয়র বিজ্ঞানী কন্যা' মেধাবৃত্তি প্রকল্প চালু হয়েছিল। ছাত্রীদের মধ্যে এই প্রকল্পের যথেষ্ট সাড়া তৈরি হলেও সিংহভাগ ছাত্ররাই এই সুবিধা পান। তাই স্কুলস্তর থেকেই ছাত্রীদের জন্য পৃথক এই মেধাবৃত্তি চালু হওয়ায় বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে পড়ার আগ্রহ ছাত্রীদের মধ্যে যথেষ্ট বৃদ্ধি পাবে, বলছেন ওয়াকিবহাল মহল।