ফের ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে রাজ্যের করোনাভাইরাস এর গ্রাফ। মাংকি পক্স আতঙ্কের মাঝেই নতুন করে উদ্বেগ বৃদ্ধি করতে শুরু করেছে করোনা। যদিও বুধবার পর্যন্ত এখনো করোনা ভাইরাসের কারণে মৃত্যু হয়নি কোন মানুষের। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গতকাল রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮৫ জন। মঙ্গলবার এর তুলনায় এই সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি। এর ফলে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লক্ষ ১৯ হাজার ৮৩২। বুধবার করণা ভাইরাসের কারণে কারো মৃত্যু না হলেও, নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনাভাইরাস।
রীতিমত ঊর্ধ্বমুখী করোনাভাইরাস এর গ্রাফ সকলের মনে দুশ্চিন্তার কারণ হিসেবে সামনে এসেছে। তবে তারই মাঝে আশার খবর রয়েছে। সংক্রমণের পাশাপাশি এদিন বেড়েছে করোনাভাইরাস জয়ীর সংখ্যা। ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাস কে হার মানিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৪৮ জন। মঙ্গলবার এর তুলনায় এই সংখ্যাটা সামান্য বেশি। এখনো পর্যন্ত সর্বমোট ১৯ লক্ষ ৯৮ হাজার ১৫৮ জন মানুষ সুস্থ হয়েছেন। এই সুস্থতার হার মোটামুটি ৯৮.৯৩ শতাংশের কাছাকাছি
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২০২০ সালে করোনাভাইরাস প্রথমবার থাবা বসিয়েছিল বিশ্বে। সেই সময় অচল হয়ে পড়েছিল গোটা বিশ্ব। লকডাউন এর কারণে সবকিছু হয়ে গিয়েছিল স্তব্ধ। তারপরেই চিকিৎসকরা নমুনা পরীক্ষার উপরে বিশেষ জোর দিয়েছিলেন। করুণা ভাইরাসের টিকাকরনের পর কিছুটা হলেও কমেছে করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই ভারতের সিংহভাগ মানুষ টিকা গ্রহণ করে ফেলেছেন। তবে তারই মধ্যে নতুন করে আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে করোনাভাইরাস এর এই ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ। ডিজিসিএ একাধিক সর্তকতা জারি করেছে সাধারণ মানুষের জন্য। বিমানবন্দরে এবং বিমানের যাত্রীরা মাস্ক পরছে কিনা তার জন্য জারি করা হয়েছে সর্তকতা। মোতায়েন রয়েছে সিআইএসএফ বাহিনী। যাত্রীদের মধ্যে কেউ মাস্ক না করলে তাদেরকে বিমানে উঠতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে ডিজিসিএ - র তরফ থেকে।