করোনা চিকিৎসায় নয়া নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। ৬৫ ঊর্ধ্ব রোগীর ক্ষেত্রে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে এই নির্দেশিকা। এক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চিকিৎসক-রোগী উভয়কেই চলতে হবে। চিকিৎসা পরিভাষায় এই পদ্ধতির নাম হল কোভিড-১৯ কনভালেসেন্ট প্লাজমা ট্রান্সফিউশন বা সিসিপি। এই পদ্ধতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে চলতে হবে।
এই গাইডলাইনের স্পষ্ট বলা হয়েছে, শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে। ১০ দিনের বেশি হলে তা প্রয়োগ করা যাবে না, কারণ তাতে রোগীর শরীরে নানান জটিলতা দেখা যেতে পারে। রোগীর বয়স যদি ৬৫ বছরের বেশি হয়, তাহলে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা যাবে না। রোগের ধূমপানের অভ্যাস থাকলে কিংবা স্থূলতার সমস্যা থাকলে এই ঝুঁকি নেওয়া যাবে না।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সাধারণত রোগীর শারীরিক সমস্যা যাতে না বাড়ে কিংবা তাকে ভেন্টিলেশনে দিতে না হয়, তার জন্য এই থেরাপি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত যেসব রোগীদের নিম্ন বা উচ্চপ্রবাহ অক্সিজেন থেরাপি চলছে, তাদের ক্ষেত্রে এই থেরাপি ব্যবহার করা যেতে পারে। প্লাজমা পদ্ধতির ব্যবহারের ক্ষেত্রে রোগীর রক্তের গ্রুপের সামঞ্জস্য দেখা হয়। প্লাজমা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে রোগীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করার কথা বলা হয়েছে।
চিকিৎসক একাংশের মতে, এই চিকিৎসা ব্যবহারের সময় পদ্ধতিগত ভুলত্রুটি হলে, রোগীর ফুসফুসে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত হয়ে যেতে পারে কিংবা অ্যালার্জিগত প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই নির্দেশিকায় আরও বলে হয়েছে, সিসিপি-র ক্ষেত্রে রোগীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তবেই তা এই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে। অভিযোগ উঠেছে, করোনা রোগীর ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় এই সব নিয়ম যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে অহেতুক শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়। অনাবশ্যক সেই জটিলতা এড়াতেই এই নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর।