দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণের ৩০ টি কেন্দ্রের মধ্যে সর্বাগ্রে নজরে ছিল নন্দীগ্রামের নির্বাচন। ১৪৪ ধারা জারি করা ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর অতিরিক্ত জওয়ান মোতায়েনের পরেও অশান্তি আটকানো যায়নি বয়ালে। বয়াল প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তৃণমূলের এজেন্টের অনুপস্থিতিতে অবাধে ছাপ্পা ভোট চালাচ্ছে বিজেপি, এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালে ঘটনাস্থলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং এবং ওই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে তাঁর দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা নিয়েও অশান্ত হয় স্থানীয় বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাইরে থেকে লোক এনেছেন এই নিয়েও দু-পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির জোগাড় হলে নিয়ন্ত্রণে ব়্যাফ নামে। যদিও বয়ালে অশান্তি হলেও মোটের ওপর গোটা নন্দীগ্রামের ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলেই জানান শুভেন্দু অধিকারী। ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীও একই কথা উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনকে আরও একটি ভবিষ্যত আশঙ্কার কথা জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন।
কি তাঁর আশঙ্কা? নির্বাচন কমিশনকে লেখা চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, নন্দীগ্রামে ভোট শান্তিপূর্ণ হলেও ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূল নাও হতে পারে নন্দীগ্রামবাসীর জন্য। আগামীতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হতে পারে এখানে। তমলুক সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর এই মতামতকে একেবারেই লঘু করে দেখছেনা রাজনৈতিক মহল। আগেও মেরুকরণের রাজনীতির সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে এই বিধানসভা কেন্দ্রে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এখনো তিঁনি কাগজে-কলমে তৃণমূলের সাংসদ, অতএব তার লেখা এই আগাম সতর্কতার চিঠি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বলে মানছেন রাজনীতিকদের একাংশ। যদিও মুখ্যমন্ত্রী এদিনের নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে একেবারেই অখুশি এবং বিজেপির প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ হেনেছেন কমিশনের বিরুদ্ধে। কমিশনে তেষট্টিটি অভিযোগ দায়ের করা সত্ত্বেও একটিরও সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিঁনি।