ফের রণক্ষেত্র নন্দীগ্রাম (Nandigram)। এবার নন্দীগ্রামের হরিপুরের কিষাণ মান্ডিতে মান্ডি (Kishan Mandi) আধিকারিককে বেধড়ক মারধোরের অভিযোগ উঠল বিজেপি (BJP) কর্মীদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, একাধিক দাবী নিয়ে এদিন কিষাণ মান্ডির সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল শতাধিক বিজেপি কর্মী। সে সময়ই তারা আচমকাই চড়াও হয় মান্ডির এক্সটেনশন অফিসার বিদ্যুৎবরণ মণ্ডলের উপর। বেধড়ক মারধোর করা হয় তাঁকে। যার জেরে গুরুতর আহত হয়েছেন ঐ আধিকারিক। ঘটনায় চরম উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। যদিও আন্দোলনের নেতা, হরিপুর ৫ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মেঘনাদ পাল দাবী করেছেন, ভুল বোঝাবুঝির কারনে ঘটেছে এমন ঘটনা।
কিষাণ মান্ডিতে বেছে বেছে তৃণমূলের লোকেদের ফসলের বীজ বিলি করা হচ্ছে-সহ একাধিক অভিযোগ নিয়ে এদিন বেলা ১২ টা নাগাদ হরিপুর ৫ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধানের নেতৃত্বে কিষাণ মান্ডিতে ডেপুটেশন জমা দেন বিজেপি কর্মীরা। এবিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শতাধিক বিজেপি কর্মীদের মিছিল কিষাণ মান্ডিতে পৌঁছানোর পর আচমকাই সেখানকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
তাঁদের থেকেই জানা গিয়েছে, সে সময় মান্ডি থেকে বার হচ্ছিলেন মান্ডির এক্সটেনশন অফিসার বিদ্যুৎবাবু। অভিযোগ, হাতের কাছে পেয়েই বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে মাটিতে ফেলে প্রচণ্ড মারধোর শুরু করে। তবে কিছু সময় পর নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে কর্মীদেরই একাংশ বিদ্যুৎবাবুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
ঘটনার বিষয়ে বিদ্যুৎবরণ বাবু জানিয়েছেন, তিনি যখন মান্ডির বাইরে বেরচ্ছিলেন, তখন আচমকাই তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর উপর আক্রমণ চালায় একদল লোক। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁকে কিল, চড়, লাথি মারতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। অন্যদিকে বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা মেঘনাদ পালের সাফাই, বিক্ষোভকারীরা ভেবেছিলেন, আধিকারিক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। ভুল বোঝাবুঝির ফলেই ঘটেছে এমন কাণ্ড। ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছে তৃণমূলও। নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি স্বপন দাস এবিষয়ে বলেছেন, কোনও কারন ছাড়াই নন্দীগ্রামে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবীও জানিয়েছেন তিনি।