বাড়িতে অতিথির সমাগম। নিম্নবিত্ত সংসার। আলাদা রান্নাঘর নেই। বাধ্য হয়ে ঘরের এককোণে খড়ের চালার নীচে রান্না করছিলেন মা। পাশে ফুটফুটে বছর তিনেকের শিশুটি খেলা করছিল। মায়ের একদিকে বাড়ির অতিথি সামলানোর ব্যস্ততা, অপরদিকে রান্নার তোড়জোড়। খেয়াল নেই শিশু সন্তানের। এরমধ্যেই কখন যে উনুন থেকে আগুনের ফুলকি বেরিয়ে গোটা ঘরেই আগুন লেগেছে কে তা জানত! না, তিন বছরের শিশুটি আগুন থেকে বেরোতে পারেনি। সেখানেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তার। আর উদ্ধার করতে গিয়ে মা-ও গুরুতর আহত। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনাটি নদিয়ার (Nadia) করিমপুর থানার নাটনা এলাকার। এখানেই এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারাল বছর তিনেকের আরজু শেখ। আর মা মারুফা বিবি আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর মা ও শিশুকে উদ্ধার করেন এলাকার মানুষ। শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। কিন্তু বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এদিকে মা-ও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মারুফা বিবিদের অভাবের সংসার। ছোট ঘর, তা-ও খড়ের চালা। আলাদা রান্নাঘর করার সামর্থ্য তাঁদের ছিল না। তাই সেই ছোট্ট ঘরের পাশে এক চালার নীচেই চলত রান্নাবান্নার কাজ। উনুনেই হত রান্না। এদিন তাঁদের ঘরে আত্মীয়রা এসেছিলেন। মারুফা বিবি তাঁদের দেখভালে এবং রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এদিকে তিন বছরের শিশু সন্তান রান্নাঘরেই খেলা করছিল। উনুন থেকে আগুনের ফুলকি ঠিকরে বেরিয়ে যে এই ভয়াবহ কাণ্ড ঘটাবে, কে তা জানত! ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া।