রাজ্যে মেলেনি কাজ। পরিবারকে বাঁচাতে কাজের খোঁজে, বলাবাহুল্য পেটের টানে ভিনরাজ্যে যেতেই মৃত্যু হচ্ছে বাংলার যুবকের। এমন খবর এই প্রথম নয়। মালদা, সোনারপুর কিংবা জলপাইগুড়ি বা খোদ কলকাতার ক্ষেত্রেও মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এবারে শিরোনামে উঠে এল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামসেরগঞ্জ। সূত্রের খবর, বছর বাইশের এক যুবক রাজমিস্ত্রীর কাজে কেরলে গিয়েছিলেন। প্রতিদিনের মতোই গতকালও কয়েকবার ফোনে কথা হয় পরিবারের সঙ্গে।
তবে রাত থেকে আর যোগাযোগ করা যায়নি ওই যুবকের সঙ্গে। এরপরেই ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় কেরলে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। যে গতকালও ঠিক করে কথা বলছিল, সে কীভাবে আত্মহত্যা করতে পারে? অভিযোগ পরিবারের। তবে এটি আত্মহত্যা নাকি ঠান্ডা মাথায় খুনের ছক, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই কেরল পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই দেহ বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসার তৎপরতা শুরু হবে।
মৃত যুবকের নাম ফারুক মীর (২২)। তাঁর বাড়ি সামশেরগঞ্জ থানার লস্করপুর এলাকায়। কেরল পুলিশ সূত্রের খবর, সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি বাগান থেকে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আর তাতে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকাতেও। পরিবারের অভিযোগ, মীরকে খুন করে বাগানের গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কে বা কারা এই ঘটনার জন্য দায়ী, তা নিয়ে মুখ খোলেনি পরিবার। পুরো ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।