বাম রাজনীতির ময়দানে অন্যতম জনপ্রিয় নেত্রী হলেন মীনাক্ষী মুখার্জি। নন্দীগ্রামের মত হাইভোল্টেজ একটি কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থীর হয়ে তিনি একেবারে সকলকে চমকে দিয়েছেন। লড়াইয়ের ময়দানে যত বড়, ততটাই আত্মবিশ্বাসী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামের ত্রিমুখী লড়াইয়ের একটি মুখ হলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। একদিকে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী আবার অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কেন্দ্রে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় অত্যন্ত 'অনামী'। কিন্তু, এবারের নির্বাচনের সবথেকে হাই ভোল্টেজ কেন্দ্রে প্রার্থী হয়ে সেখানকার ভারসাম্য কিন্তু যথেষ্ট ভালো ভাবে বজায় রাখছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে।
সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের ঘটনা নিয়ে নতুন তথ্য সামনে এনেছেন। তিনি সরাসরি অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী এবং শিশির অধিকারীর বিরুদ্ধে। তিনি বলেছেন শুভেন্দু অধিকারীর ষড়যন্ত্রে পুলিশ সেদিন গ্রামে ঢুকতে পেরেছিল। সেই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতারা পাল্টা কটাক্ষ করেছেন শাসক দল এবং বিজেপিকে। এই প্রসঙ্গে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, "তখন আমাদের সরকারকে দোষারোপ করেছিলেন বিরোধীরা। আমাদের সরকারের সব থেকে বড় শক্তি ছিল, তারা ক্ষমা চাইতে জানতো। কোন ভুল হলে জনতার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিত। নন্দীগ্রাম নিয়ে আমরা বলেছিলাম পরে মানুষ বুঝতে পারবেন। আজকে বুঝতে পারছেন। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যদিকে শিশির অধিকারী এবং শুভেন্দু অধিকারী। এরা উভয়েই নন্দীগ্রামে সেদিনের ঘটনা যে ভাবে একে অপরকে দায়ী করেছেন এখন তা দেখে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে মোটেই ভালো লাগছে না। তাদের এই দোষারোপ এবং ষড়যন্ত্রের জন্য নন্দীগ্রামের ছেলে মেয়েদের জীবন ৪০ বছর পিছিয়ে গেল।"
নন্দীগ্রাম থেকে কেন লড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী? এর পিছনে কি কোন রহস্য রয়েছে? আপনার লড়াইটি কতটা কঠিন হতে চলেছে? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরে মীনাক্ষী একটি হিন্দি গানের সুর ধরলেন - "মেরা পেয়ার কা উমার হ্যায় ইতনা সনম/ তেরে প্যার সে শুরু , তেরে প্যার কি কসম"। এই কথার প্রসঙ্গ তুলে মীনাক্ষী বললেন, "ওর সরকার একই রকম। নন্দীগ্রাম থেকে শুরু হয়েছিল, আর নন্দীগ্রামেই শেষ হবে।"