অশান্তির জেরে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপেরবাড়িতে চলে এসেছিলেন তিনি। তারপর থেকে সম্পর্ক রাখেননি স্বামী-শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। যার ফলে শেষমেশ দুই কন্যা সন্তান-সহ নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী (suicide) হলেন ‘মানসিক অবসাদগ্রস্ত’ গৃহবধূ। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দিতে।
মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, আত্মঘাতী গৃহবধূর নাম লক্ষ্মী ঘোষ। তিনি কান্দির গাঁ তলা গ্রামের বাসিন্দা। বছর পাঁচেক আগে নবগ্রামের বিরবল ঘোষের সাথে বিয়ে হয় তাঁর। চাঁদনী এবং ইতু নামে তাঁদের দুই কন্যাসন্তানও আছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে একাধিক বিষয়কে কেন্দ্র করে দাম্পত্য কলহের জেরে দুই শিশুকন্যাকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে আসেন লক্ষ্মী। মাঝে একাধিকবার শ্বশুরবাড়ির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও অপরপ্রান্ত থেকে মেলেনি কোনও সাড়া। ঘটনায় মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন গৃহবধূ।
জানা গিয়েছে, আজ সকালে অনেক বেলা হয়ে গেলেও ঘরের দরজা খোলেননি লক্ষ্মী এবং তাঁর মেয়েরা। ডাকাডাকি করেও সাড়াশব্দ মেলেনি। এমন সময় পাড়ারই এক প্রতিবেশী দেখেন, গৃহবধূর ঘর থেকে বেরোচ্ছে কালো ধোঁয়া। সেই সাথে ঘরের ভিতর থেকে লক্ষ্মী এবং তাঁর মেয়েদের চিৎকারও শুনতে পান প্রতিবেশীরা। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় তা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন তাঁরা।
ঘরে ঢুকে ভয়ানক দৃশ্যের সম্মুখীন হন তাঁরা। দেখেন অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন লক্ষ্মী এবং তাঁর দুই মেয়ে। কান্দি থানায় তৎক্ষণাৎ খবর পাঠান প্রতিবেশীরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে উদ্ধার করেন তিনজনকে। যদিও ততক্ষণে মা এবং মেয়েদের কেউই জীবিত অবস্থায় ছিলেন না। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তিনজনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তে (Post Mortem) পাঠানো হয়েছে। তবে মানসিক অবসাদেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন মহিলা, প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই ধারনা পুলিশের।