ঘটনার সূত্রপাত দিন পনেরো আগে। শান্তিনিকেতন থানা এলাকার বাগানপাড়া গ্রামে এলাকার যুবকদের মধ্যে বসে মদের আসর। ওই আসরে ছোটখাটো ঝামেলা হয়, তবে তা রূপ নেয় ভয়াবহ। ঝামেলাকে কেন্দ্র করে চলে বচসা, হয় হাতাহাতি। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়, লোহার লাঠি দিয়ে চলে মার। ঘটনায় গুরুতর জখম হন এক যুবক। তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে বোলপুর থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
তবে সূত্রের খবর, সেখানেও তাঁর অবস্থার কোনও উন্নতি হচ্ছিল না। চিকিৎসকরা কিছু শারীরিক পরীক্ষা করে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। তবে পরিবারের আর্থিক ক্ষমতা না থাকায়, তাঁকে বাড়ি নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন।
এরপরেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। মৃতের নাম পশুরাম লোহার। পরিবারের অভিযোগ, সেদিন মারের জেরেই প্রাণ হারাতে হল পশুরামকে। এই অভিযোগ নিয়েই শান্তিনিকেতন থানায় দায়ের হয়েছে মামলা। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত সন্দেহে সম্রাট হাঁসদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ৩০৭ ধারা অর্থাৎ খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।