মাঝে মাঝেই খবরের শিরোনামে উঠে আসে উত্তরবঙ্গের লোকালয়ে চিতাবাঘ চলে আসা। এই কারণে রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন উত্তরবঙ্গের একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা। তবে শিলিগুড়ির ঘোষপুকুরে চিতাবাঘ সম্বন্ধিত এমনই এক ঘটনা ঘটেছে, যা শুনে অবাক হয়ে গিয়েছে সকলেই। জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির ঘোষপুকুরের ফৌজিজোতে একদল যুবক চিতাবাঘ শিকারের পর তার মাংস রান্না করে খেয়েছে। শুনে অবাক লাগলেও, এমনটাই হয়েছে উত্তরবঙ্গে।
যুবকগুলি চিতাবাঘ হত্যার পর মাংস রান্না করে খায় এবং তারপর ওই চিতার ছাল পাচারের চেষ্টা করে। তবে তার আগেই ওই যুবকদের গ্রেপ্তার করেছে এসএসবি গোয়েন্দা বিভাগ এবং ঘোষপুকুর রেঞ্জের বনকর্মীরা। এই প্রসঙ্গে রেঞ্জার সোনাম ভুটিয়া বলেছেন, "দিন কয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ছবি ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিল যেখানে দেখা গিয়েছিল কয়েকজন যুবক একটি মৃত চিতাবাঘের সঙ্গে নানা পোজে ছবি তুলছে। সেই ছবি নজরে আসে এসএসবির গোয়েন্দা বিভাগের এবং ঘোষপুকুর রেঞ্জের বনকর্মীদের। এরপর কে বা কারা এমন কাজ করেছে জানার জন্য তদন্ত শুরু হয়। আর সেই তদন্ত থেকে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য"।
জানা যায়, শিলিগুড়ির ঘোষপুকুরের ফৌজিজোতে একটি চিতাবাঘ শিকার করেন বেশ কয়েকজন। তারপর তারা ওই চিতা বাঘের চামড়া ছাড়িয়ে নেয় এবং মাংস টুকরো টুকরো করে কেটে নেয়। সেই মাংস রান্না করে তারা খাওয়া-দাওয়া করে। পরে সেই চিতাবাঘের ছাল এবং নখ বিক্রির ছক কষে তারা। কিন্তু গোপন সূত্র মারফত সেই খবর পেয়ে যায় এসএসবির গোয়েন্দা বিভাগ। এরপর এসএসবির গোয়েন্দা বিভাগ এবং ঘোষপুকুর রেঞ্জের বনকর্মীরা যৌথ অভিযান চালিয়ে প্রথমে দুই জন এবং পরে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে।
জানা গিয়েছে, ধৃতরা হল ২০ বছরের তাপস খুড়া, ১৮ বছরের মুকেশ ও ২৪ বছরের পিতালুস কেররাটটা। তাদের কাছ থেকে ১১০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ৫০ সেন্টিমিটার চওড়া চিতাবাঘের ছাল ও কিছু নখ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া চিতাবাঘের ছাল নেপালে পাচার করার মতলব ছিল ধৃতদের। আপাতত পুলিশ তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং আগামী শনিবার তাদের আদালতে তোলা হবে।