এখনও সাত সাত দফার নির্বাচন বাকি, এরই মধ্যে প্রথম দফা নির্বাচনের মধ্য গগনে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য - রাজনীতিতে কার্যত সাড়া ফেলে দিয়েছে একটি অডিও ক্লিপ। (যদিও পরিদর্শক এই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি) এই বিষয় নিয়ে দুই যুযুধান প্রধান শক্তি রীতিমত মাঠে নেমে পড়েছেন।
শনিবার ৫ জেলার ৩০ টি কেন্দ্রে যখন নির্বাচন চলছে, তখনই আচমকা একটি খবর মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ - সভাপতি প্রলয় পালের দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার কাছে নির্বাচনের বিষয়ে সাহায্য চেয়েছেন, যদিও তিনি তা নাকচ করে দিয়েছেন। সেই জনৈকা মহিলার কন্ঠস্বরে শোনা যায় যে তিনি প্রলয় পালের কাছে সাহায্য চাইছেন। সেক্ষেত্রে প্রলয়ের স্পষ্ট বক্তব্য, "আমি এখন দল ছেড়ে বেরিয়ে এসেছি। যে দলের সঙ্গে আমি আছি, সেই দলের সঙ্গে আমি বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারব না। আমি যখন যে দল করি, আমি মন দিয়ে প্রাণ দিয়ে সেই দল করি।" প্রলয় পালের এই আত্মবিশ্বাসী বক্তব্য রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে যে তীব্র অস্বস্তির কারণ, তা নির্বাচন পর্যবেক্ষক একাংশের মত।
করোনা
Sources: wbhealth.gov.in. Modified data from: api.covid19india.org (license) with WB district name translations.
বিশেষ সূত্রে খবর, আজ সকাল নাগাদ এই ফোন কল আসে। প্রলয় পালের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ জনৈকা মহিলার কথা হয়। প্রলয় পালের দাবি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তাকে ফোন করেছিলেন এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে থাকতে অনুরোধ করেছিলেন। প্রলয় পালকে ওই অডিও ক্লিপে বলতে শোনা যায়, "দেখুন দিদি, যতদিন দল ঠিক থাকবে ততদিন দলের সঙ্গে থাকব। আমাকে আমার বিবেক জন্ম দিয়েছে। দল তো আর জন্ম দেয়নি।"
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "মুখ্যমন্ত্রী এমন কিছু বলতে পারেন বলে মনে হয় না।" অবশ্য তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ অন্য কথা বলেছেন। তাঁর বক্তব্য, "যদি অডিও ক্লিপ সত্যি হয়ে থাকে, ফোন করেছেন বেশ করেছেন। বিজেপি নয়, প্রাক্তন তৃণমূল নেতাকে ফোন করেছেন। মমতার সৌজন্যকে দুর্বলতা ভাবার কোন কারণ নেই।" এই প্রসঙ্গে বিজেপি দলের সহ - পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য টুইট করেছেন।
দ্বিতীয় দফা ভোটের পূর্বে এমন ঘটনা কার্যত সাড়া ফেলে দিয়েছে বলে সূত্রে খবর। রাজনৈতিক বিশ্লেষক একাংশের মত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সৌজন্যমূলক এমন ফোন করতেই পারেন, কিন্তু বিরোধী দলের একাংশ কার্যত তৃণমূল নেত্রীর এই অডিও ক্লিপকে হাতিয়ার করে প্রচারে নেমে পড়েছেন বলে বিশেষ সূত্রের খবর।