বছর দশেক আগেও দেখা যেত ছেলেমেয়েদের মাঠে খেলা করতে। স্কুলে গিয়ে কত গল্প, কত খেলা। স্কুল থেকে ফিরে এসে ফের খেলাধূলা। এই খেলাধূলা নিয়েও তাদের মধ্যে ছিল চরম উন্মাদনা। বাড়িতে মারধর, বকুনির পরও তাদের ঘরের মধ্যে আটকে রাখা সম্ভব হয়নি। খেলাধূলা, দৌড়ঝাঁপ, গল্প, আড্ডায়পূর্ণ সেই কৈশোরবেলা আজ খুঁজতে হয়। হারিয়ে গেছে কৈশোরের সেই মজা, আনন্দ।
বর্তমানে মোবাইল গেমে আসক্তি চোখে পড়ার মতো। রাস্তার মোড়ে মোড়ে মাথা গুঁজে মোবাইল হাতে কিশোরদের আকছার চোখে পড়ে। তেমনই পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের কয়েকজন কিশোর বাজি ধরে মোবাইল গেম খেলছিল বলে খবর। চার বালকের একটি দল একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে বসে বাজিতে মোবাইল গেমস খেলছিল। বাজি ছিল এমনই যে হারবে তাকে জুতোপেটা করা হবে। আর সেই জুতোপেটার দৃশ্য ভিডিও করা হবে।
এমন আজব সিদ্ধান্তের যে আনুষঙ্গিক বিপদ থাকতে পারে কে তা জানত! তিনজন জুতো নিয়ে মারতে থাকায় ছেলেটি অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। গোটা ঘটনাটি তারা মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করে। বেগতিক বুঝে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এদিকে প্রায় আধমরা অবস্থায় পড়ছিল কিশোর, দাবি পরিবারের। তাকে উদ্ধার করে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মারের চোটে সে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছিল। মাঝে মাঝে রক্তবমি করছে বলে দাবি পরিবারের তরফে।
এদিকে এই ঘটনার পর মার খাওয়া সেই কিশোরের পরিবারের দাবি, ঘটনার পর থেকেই তাদেরকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। থানায় যেন না যাই, এই বলে একাংশ ভয় দেখাচ্ছে। এমনকী অ্যাসিড ছুঁড়ে মারার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। যদিও সেই কিশোরের পরিবার ভয় না পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ সেই বাকি কিশোরদের আটক করেছিল এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।