পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং-এর কৃষক পরিবারের যুবক বাসুদেব দাস অধিকারী গত ২৭শে ফেব্রুয়ারি একটি বাইক দুর্ঘটনায় মাথায় গুরুতর চোট পান। তারপর প্রথমে সবং গ্রামীন হাসপাতালে ও পরে মেদিনীপুরে নিয়ে সিটি স্ক্যান হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য অ্যাপোলোতে নিয়ে গেলে বাসুদেবের ব্রেন ডেথ হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। মৃত্যু নিশ্চিত জেনে পরিবার বাসুদেবের অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপরই রিজিওনাল অর্গান অ্যান্ড টিসু ট্রান্সপ্লান্ট অর্গানাইজেশনের তত্ত্বাবধানে অতি দ্রুত তৎপরতা দেখানো হয়।
বাসুদেবের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপিত হয়েছে নারায়ণা সুপার স্পেশালিটির এক তেরো বছরের বালকের শরীরে। গ্রিন করিডোর করে নিয়ে এসে এসএসকেএমের এক তরুণীকে দেওয়া হয়েছে বাসুদেবের একটি কিডনী। অন্য কিডনী গেছে অ্যাপোলোতেই ভর্তি ২৩ বছরের এক যুবকের দেহে এবং লিভার পেয়েছেন ৫৫ বছরের এক প্রৌঢ়। বাসুদেবের বাবা পুত্রশোকে মূহ্যমান হয়েও জানান, ছেলে চলে গেলেও ওর অঙ্গগুলো পেয়ে অন্যরা বাঁচুক, ওদের মধ্যেই ছেলের বেঁচে থাকা। রোটোর চিকিৎসক অর্পিতা রায়চৌধুরী বলেন, ওনাদের সিদ্ধান্ত শিক্ষণীয় ও প্রশংসনীয়। শহরের শিক্ষিত মানুষদের অঙ্গদানের গুরুত্ব নিয়ে অনেক বুঝিয়েও কোনো কাজ হয়না।