কথায় আছে 'মশা মারতে কামান দাগা!' এ ঘটনাটিও তেমনই! কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙাতে শেষমেশ ডাকতে হল পুলিশ, ভাঙতে হল তালা। পাড়া-প্রতিবেশীদের হাঁকডাকেও ভাঙেনি ঘুম। এ কালনিদ্রা থেকে জাগাতে অবশেষে ভাঙতে হল ঘরের তালা। ততক্ষণে 'কুম্ভকর্ণ' তাঁর নিদ্রা সমাপ্ত করে হাই তুলতে তুলতে বেরিয়ে আসছেন। আর ততক্ষণে ঘরের ভেতর পুলিশের আনাগোনা। দেখেই তো বাবাজির চক্ষু চড়কগাছ। যদিও গোটা ঘটনায় রাগের চেয়ে হো হো হাসিই শোনা গেল সকলের কাছ থেকে।
ঘটনাটি ঠিক কী? হুগলির চুঁচুড়ার বড়বাজার থাকেন এক দম্পতি। স্ত্রী বর্ধমানের মেমারী গেছেন এক বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। যাওয়ার আগে প্রতিবেশী একজনকে বলে গিয়েছিলেন সকাল ১১ টা নাগাদ যেন তাঁর স্বামীকে তিনি ডেকে দেন। স্বামী বছর বিয়াল্লিশের, শিয়ালদহ শাখার ট্রেন চালক। দায়িত্ব পালন করতে সেই প্রতিবেশী এসে ডাক দেন, কিন্তু কোন সাড়া মেলেনি। বারবার কলিং বেল বাজানোর পরেও কোন উত্তর মেলেনি। এইভাবে বারকয়েক চেষ্টার পর গোটা ঘটনাটি তিনি যুবকের স্ত্রীকে জানান।
এরপর আরও কিছুটা সময় কেটে যাওয়ার পর স্ত্রী বাধ্য হয়ে উৎকন্ঠায় চুঁচুড়া থানায় ফোন করেন। ততক্ষণে দুপুর গড়িয়ে বিকেল। পুলিশ এসে অনেক হাঁকডাকের পরও কোন সাড়া নেই। বাধ্য হয়ে স্ত্রীয়ের অনুমতিতে দরজা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। ডাকা হয় কর্মীদের। রীতিমতো ছেনি, হাতুড়ি নিয়ে ভাঙতে হয় পরপর দু'টি দরজা। এত শব্দেও কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙেনি। যখন পুলিশ দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন তখনই হাই তুলতে তুলতে তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে আসছেন। পুলিশ দেখেই তো তিনি রীতিমতো থ। যদিও পরে গোটা ঘটনায় হো হো হাসির রোল ওঠে।
পাড়ার প্রতিবেশীদের মধ্যেও হাসির রোল। অবশ্য একাংশ বলছেন, এ কেমন ঘুম রে বাবা! যদিও আর একদল বলছেন বহুদিন পর হয়তো এমন সুখনিদ্রা দিচ্ছিলেন মশাই! গোটা ঘটনায় ফ্ল্যাট চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়ালেও আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় হো হো হাসির রোল!
 
  
 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
     
     
     
     
     
     
     
     
    