আজ সকালে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বামেদের নবান্ন অভিযানে অংশগ্রহণকারী ডিওয়াইএফআই নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্দা। ১১ই ফেব্রুয়ারি আন্দোলন চলাকালীন পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর জখম হন এই যুবনেতা। হাসপাতালে তিনদিনের সংগ্রামের পরও শেষরক্ষা হলনা। বাঁকুড়ার কোতলপুরের বাসিন্দা ছিলেন মইদুল। হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পুলিশের প্রচন্ড মারধরে সারা শরীর জুড়ে একাধিক মাংসপেশিতে জোরালোভাবে আঘাত পান মইদুল। পেটে ও পিঠে আঘাতের জেরে কিডনি বিকল হয়ে যায় মইদুলের।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানান, "মৃত্যু নয়, এটা খুন। সরকার ইতরতার সীমা ছাড়িয়েছে। এই বাচ্চা ছেলেটকে কীভাবে মেরেছে। সরকার ভয় পেয়েছে। তাঁর বুকে, পিঠে প্রচণ্ড আঘাত করেছে পুলিশ। চিকিৎসক চাপের মুখে সবটা বলতে পারছেন না।" আরো বলেন, "ছাত্র-যুবদের বিরুদ্ধে সরকারের এমন আক্রমণ আগে কখনও ঘটেনি। আইনি ব্যবস্থা পরের কথা। এ তো জীবন্ত মানুষকে লাশ বানাচ্ছে সরকার।" সূর্যকান্ত মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেন, "মইদুল শহিদ হয়েছেন। তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।" বাম নেতা ফুয়াদ হালিম জানান, পুলিশ মাথা-বুক লক্ষ্য করেই লাঠিচার্জ করেছে। এর আগে বিজেপির নবান্ন অভিযানে উলেন রায়ের মৃত্যু আর এবার নির্বাচনের আগে মইদুলের মৃত্যুকে ঘিরে আবারো একবার শাসক দলের পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।