একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) তৃণমূল ও বিজেপির (TMC vs BJP) মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আশা রাখলেও শেষ পর্যন্ত বিপুল ভোটে মমতা সরকার বাংলায় শাসকদল হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিল। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে ভোট-পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violation) ছবি বারংবার খবরের শিরোনামে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যকে করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court)। আজ অর্থাৎ শুক্রবার শুনানিতে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এছাড়া রাজ্য সরকার একাধিক অপ্রীতিকর প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
আজ ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, "ভোট-পরবর্তী হিংসায় যারা আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার ভার রাজ্য সরকারকে নিতে হবে। এখনও অব্দি যতগুলি অভিযোগ এসেছে সমস্ত ঘটনায় পুলিশকে আলাদা আলাদা মামলা রুজু করতে হবে। ফৌজদারি মামলার ১৬৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী প্রত্যেক অভিযোগকারীর গোপন জবানবন্দি নিতে হবে। এছাড়া হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের যাতে না আর কোনো অসুবিধায় পড়তে হয় তা নিশ্চিত করতে প্রত্যেকের বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। কারোর রেশন কার্ড হারালে তাকে নতুন রেশন কার্ডের ব্যবস্থা করে দিতে হবে প্রশাসনকে।" এছাড়াও ভোট-পরবর্তী হিংসায় মৃত বেলেঘাটার এক বিজেপি কর্মীর দেহ দ্বিতীয়বারের জন্য ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।