স্বামী বেকার জেনেও ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রেণু খাতুন। সরকারি চাকরি পেয়ে প্রথম জানিয়েছিলেন নিজের স্বামীকেই। কিন্তু পরিণামে যে এমন ঘটনাও ঘটতে পারে কে তা জানত! স্ত্রী চাকরি পেলে আর স্বামীর থাকবে না, এই আশঙ্কায় যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন স্বামী মহম্মদ শেখ, তা নিয়ে স্তম্ভিত গোটা সমাজ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় রেণুর শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করল পুলিশ। যদিও মূল অভিযুক্ত রেণুর স্বামী এখনও পলাতক।
সূত্রের খবর, কেতুগ্রামের চাকদা গ্রাম থেকে বাস ধরে অন্যত্র পালানোর চেষ্টা করছিলেন রেণুর শ্বশুর-শাশুড়ি। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁদের আটক করেছেন। স্বামী মহম্মদ শেখের সন্ধান করতে ইতিমধ্যেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, রেণুর বাপের বাড়ির লোকজনদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, শনিবার রাতে রেণু যখন ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন তাঁর স্বামী কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে রেণুর উপর চড়াও হয়ে ওঠে। তারপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ চালায়। তাতে রেণুর ডানহাত কব্জি থেকে আলাদা হয়ে গেছে বলে সূত্রের খবর। রেণুর চিৎকারে পাড়ার লোকজন দৌড়ে এলে তাঁর স্বামী এবং বন্ধুরা চম্পট দেয়।
ইতিমধ্যেই রেণুর বাবা আজিজুল হক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। মহম্মদ শেখ নাকি রেণুর যাবতীয় সার্টিফিকেট এবং চাকরির কাগজপত্র নিয়ে চম্পট দিয়েছে। রেণু বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এমন অবস্থায় রেণু চাকরি পাবেন কী না সে নিয়ে তৈরি হয়েছে ধন্ধ। ভালোবাসার বিয়েতে এমন পরিণতি দেখে থ নেটিজেনদের একাংশ।