পানিহাটির পর এবার পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদা। এবার প্রাণ গেল এক কংগ্রেস (Congress) কাউন্সিলরের। অভিযোগের তির শাসকদল তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের দিকে। যদিও গোটা ঘটনাটি অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
ঠিক কী ঘটেছিল এদিন? সূত্রের খবর, রবিবার সান্ধ্যভ্রমণে বেরিয়েছিলেন সদ্য কংগ্রেস থেকে জিতে আসা কাউন্সিলর তপন কান্দু। সেই সময়েই চার-পাঁচজন দুষ্কৃতী বাইকে এসে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। নিহত তপন কান্দুর মাথায় গুলি লাগে। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পাশের বন্ধুরা উদ্ধার করে ঝাড়খণ্ড লাগোয়া একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করেন। আর সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এই মৃত্যুর নেপথ্যে কারণ কী? সূত্রের খবর, পুরসভার নির্বাচনে ঝালদা পুরসভাটি ত্রিশঙ্কু হয়ে যায়। ১২ টি আসনের মধ্যে ৫ টি তৃণমূল, ৫ টি কংগ্রেস এবং ২ টি নির্দল জেতে। কোনভাবেই বোর্ড গঠন করা যাচ্ছিল না। কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতোর অভিযোগ, বোর্ড গঠন করতেই কান্দুকে সরিয়ে দেওয়া হল। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এলাকায় দখলদারির রাজনীতি করছে। যদিও গোটা বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে দাবি শাসকদলের।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, গোটা ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ আছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার পুরুলিয়া জেলাজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। ঝালদা পুরসভার নির্বাচিত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর প্রকাশ্য দিবালোকে নির্মম হত্যার প্রতিবাদে আজ দুপুর ৩ টের সময়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শ্রী অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও জেলা কংগ্রেস সভাপতি শ্রী নেপাল মাহাতো ঝালদায় যাচ্ছেন। এলাকায় উত্তেজনা তুঙ্গে।