বিয়ে হয়েছে বছর দুয়েক আগে। দেখাশোনা করেই রীতিমতো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিয়ের পর্ব শেষ হয়েছিল। কন্যার পিতা মেয়ের বিয়েতে সাধ্যমতো খরচ করেছিলেন। তবে বিয়ের পরেই স্বামীর আসল রূপ বেরিয়ে আসে। রোজ চলত স্বামীর অত্যাচার। মানসিক অত্যাচারের সঙ্গে শারীরিক অত্যাচার তো ছিলই। শ্বশুরবাড়ির লোকজন সব দেখলেও কোন প্রতিবাদ করেনি বলে অভিযোগ। এমনকী সন্তানসম্ভবা হয়েও গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হয়েছেন তরুণী। না, শেষমেশ চুপ থাকেননি। থানায় গিয়ে নিজেই অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনাটি জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ি থানা এলাকার। সূত্রের খবর, ময়নাগুড়ির উত্তর খাগড়াবাড়ি এলাকার বাসিন্দা পম্পা রায়ের বিয়ে হয় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের আশিস রায়ের। বছর দুয়েক আগে দুই পরিবারের সম্মতিতে দেখাশোনা করেই তাঁদের বিয়ে হয়। পম্পা রায়ের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে স্বামীর অত্যাচার চলত। সেই অত্যাচারে মদত দিত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। রোজ বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার হুঁশিয়ারি দেওয়া হত বলে অভিযোগ।
এরমধ্যেই পম্পা সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়েন। তাতেও অত্যাচার বন্ধ নেই। ঘটে গর্ভপাতের ঘটনা। ফের সন্তান সম্ভবা হতেই পম্পা রুখে দাঁড়ান। পালিয়ে যান বাপের বাড়ি। ততক্ষণে পম্পার শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। আর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে সোজা হাজির থানায়। স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের। পম্পার দাবি, আগের বাচ্চাটা অত্যাচার করে নষ্ট করে দিয়েছে। এটাকেও নষ্ট করতে চেয়েছিল। এই বর্বরদের শাস্তি চান পম্পা।
অভিযোগ পেয়ে তৎপর পুলিশ। ইতিমধ্যেই পম্পার স্বামী আশিস রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে, যদিও আশিস রায় সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। শ্বশুরবাড়ির মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।