ব্যবসায়িক শত্রুতা এবং তার জেরে পরিকল্পনামাফিক ব্যবসায়ীকে খুনের অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা থানার পুলিশ। মৃত ব্যবসায়ীর নাম রাজেশ ছেত্রী। শনিবার নাগরাকাটার পানঝোরা এলাকায় জাতীয় সড়কের পাশ থেকে ব্যবসায়ীর প্লাস্টিকে মোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তদন্তে নেমে পাঁচজন অংশীদারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে ব্যবসায়িক শত্রুতা ছাড়া আরও কোনও কারন আছে কিনা, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা সে বিষয়ে জানার জন্য ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে ব্যবসার মালপত্র আনতে যাওয়ার কথা বলে চালসার বাড়ি থেকে বেরোন রাজেশ। যদিও পরে খবর পাওয়া যায়, তিনি সেখানে যাননি। তাঁর খোঁজ করেও সন্ধান পেতে অসমর্থ হন রাজেশের পরিজনেরা। অভিযোগ, মোবাইলেও তাঁর সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। এরপরেই পুলিশের কাছে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন ব্যবসায়ীর পরিবার। শনিবার পানঝোরা এলাকায় জাতীয় সড়কের পাশ থেকে প্লাস্টিকের বস্তাবন্দী রাজেশের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহ দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, প্রথমে ভারী কিছু বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করার পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ব্যবসায়ীকে।
এদিকে প্রথম থেকেই ব্যবসায়ীকে পরিকল্পিতভাবে খুনের অভিযোগ তোলে মৃতের পরিবার। এবিষয়ে মৃত ব্যবসায়ীর দিদি জানিয়েছেন, তাঁর ভাইকে পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে। তাঁর দাবী, কেবল চার-পাঁচজন নয়, আরও একাধিক ব্যক্তি থাকতে পারে এই খুনের পিছনে। একই সুর শোনা গেছে ব্যবসায়ীর জামাইবাবুর গলাতেও। তাঁর অভিযোগ, টাকা দেওয়ার নাম করে রাজেশকে ডাকা হয়। শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার সময় তাঁর কাছে ৭০-৮০ হাজার টাকা ছিল। তবে সেই টাকা পাওয়া যায়নি। পাওয়া যায়নি রাজেশের মোবাইল ফোনও।
আর এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ব্যবসার পাঁচ অংশীদারকে গ্রেফতার করেছে নাগরাকাটা থানার পুলিশ। আপাতত পুলিশি হেফাজতে রয়েছে তারা।