বিধানসভা নির্বাচনের আগে জোটের জট এখনো কাটেনি। বাম-কংগ্রেসের সাথে ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর সেক্যুলার ফ্রন্ট যুক্ত হতে গিয়ে আসন বাটোয়ারা নিয়ে এখনো কাটেনি দ্বন্দ্ব। এরই মাঝে নিজেরা সরে গিয়ে নন্দীগ্রামে আব্বাসের সেক্যুলার ফ্রন্টকে লড়াতে চায় বামেদের শরিক সিপিআই। এখানে আব্বাস একা লড়লেও অবশ্যই জোটের হয়েই ময়দানে নামবেন।
তবে বামেদের সাথে হালকা হলেও কংগ্রেসের সাথে মতানৈক্য চলছেই আব্বাসের। মমতা-শুভেন্দুর নন্দীগ্রামের মতো হেভিওয়েট জমি নিজেদের হাতে পেয়েও কংগ্রেসের ওপর রীতিমতো চাপ বাড়াচ্ছে আব্বাস। দাবি মতো আসন দিতে না পারলে কংগ্রেসের সব আসনে প্রার্থী দাঁড় করিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে আইএসএফ, এমনটাই হুঁশিয়ারি। কংগ্রেস যদি শর্ত না মানে তাহলে জোট থেকেই সরে দাঁড়াতে চান আব্বাস, যা নিজে ঘোষণাও করেছেন। অন্যদিকে ব্রিগেডেও তিনি থাকবেন কিনা, স্পষ্ট নয়। প্রায় পঞ্চাশ বছর পর নন্দীগ্রামে থাকবেনা কোনো বাম প্রার্থী। অন্যদিকে নন্দীগ্রামের মাটিতেই মমতা-শুভেন্দু দ্বৈরথে বাম-কং ভোটাররা আব্বাসকেই ভোট দেবেন কিনা, সেটাই দেখার।