রাজ্যে ঊর্ধ্বমুখী করোনা (Covid 19) সংক্রমণ। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা ৯৭৪। শুক্রবারের তুলনায় যা শতাধিক বেশি। মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮০৮ জন।
রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৮৫ হাজর ৪৬৬। করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে মোট ১৯ হাজার ৪৫ জনের। সুস্থ হয়েছেন মোট ১৫ লক্ষ ৫৮ হাজার ৫৯০ জন। রাজ্যে অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৭৭৩১, যা গতকালের তুলনায় দেড়শোরও বেশি।
এই অবস্থায় পরিস্থিতি যাতে কোনওভাবেই হাতের নাগালের বাইরে বেরিয়ে না যায়, তাই এবার কোমর বেঁধে ময়দানে রাজ্য সরকার। এদিন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির বাড়বাড়ন্ত রুখতে একদফা নির্দেশিকা জারি করলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সূত্রের খবর, এদিন রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। বৈঠকে জেলাশাসকরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও পুলিস সুপাররা।
এই বৈঠকেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজন অনুযায়ী আবার কনটেইনমেন্ট জোন (Containment Zone) তৈরি করতে হবে। প্রশাসনিক কর্তাদের বলা হয়েছে, রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ (Night Curfew) কঠোরভাবে পালন করতে হবে। সঙ্গে সাধারণ মানুষদের উদ্দেশ্যে বার্তা, মাস্কের ব্যবহার আবশ্যিক করতে হবে।
রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসকদের টিকাকরণের হার বাড়ানোর পরামর্শও দেন মুখ্যসচিব। সংক্রমণ বাড়লে, ছোটো ছোটো করে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোনেরও পরামর্শ দেন মুখ্যসচিব। এর সঙ্গেই তিনটে 'T' অর্থাৎ টেস্টিং (Testing), ট্র্যাকিং (Tracking)ও ট্রিটমেন্টের (Treatment) দিকেও বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।