এই বিশ্বকপার প্রথম থেকেই টস নিয়ে বিস্তার বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছিল ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে।এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরু থেকেই টসে হারছেন তিনি। সেই সময় নিন্দুকেরা বলেছিলেন, টসে হেরে গেলেই পুরো দলটাকে একেবারে দিশেহারা লাগছে। প্রথম দুটি ম্যাচে ভয়ানক পরাজয়ের পরে আফগানিস্তান ম্যাচ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করলো ভারত। শুক্রবারে স্কটল্যান্ড এর বিরুদ্ধে ম্যাচে টস জিতলেন বিরাট কোহলি। জন্মদিনের দিন টসে জিতলেন এবং তার সঙ্গেই তিনি ম্যাচেও জিতলেন। ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতলো ভারত। টুর্নামেন্টে বেঁচে রইলো ভারত।
এই ম্যাচের প্রথম থেকেই একেবারে ফর্মে ছিলেন ভারতীয় দলের সদস্যরা। প্রথমে টসে জিতে ব্যাটিং করতে স্কটল্যান্ডকে আগে পাঠান ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। পুরোপুরি ২০ ওভার ব্যাট করতে পারলেন না স্কটল্যান্ড এর ব্যাটসম্যানরা। ১৭.৪ ওপারে সবকটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ৮৫ রানে শেষ হয়ে গেল স্কটল্যান্ড এর ইনিংস। জসপ্রিত বুমরাহ এবং মোহাম্মদ শামি দুর্ধর্ষ বোলিং করে স্কটল্যান্ড এর ব্যাটসম্যানদের একেবারে চাপে ফেলে দিলেন। মাত্র ৮৫ রানে গুটিয়ে গেলেন স্কটল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। এইটুকু স্কোর নিয়ে ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে টেক্কা দেওয়া সম্ভব নয়, সেটা প্রথমেই বুঝেছিলেন স্কটল্যান্ড অধিনায়ক।
অন্যদিকে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করলেন ভারতীয় ওপেনার জুটি রোহিত শর্মা এবং লোকেশ রাহুল। ৩০ রানে রোহিত শর্মা আউট হয়ে গেলেন। ১৯ বলে ৫০ করলেন লোকেশ রাহুল। বিরাট কোহলি এবং সূর্য কুমার যাদব বাকি কাজটা করে দিলেন। মাত্র ৬.৩ ওভারের ম্যাচ পকেটে পুরে নিল ভারত। ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় গ্ৰুপ থেকে পাকিস্তান আগেই পৌঁছে গিয়েছে শেষ চারে। পরে জায়গাটির জন্য লড়াই করছে নিউজিল্যান্ড ভারত এবং আফগানিস্তান। ভারত এবং স্কটল্যান্ড এর ম্যাচের বল গড়ানোর আগে অন্য ম্যাচে নামিবিয়াকে সহজে হারিয়ে নিউজিল্যান্ড উঠে আসে দ্বিতীয় স্থানে। কিন্তু এখনো কিন্তু নিউজিল্যান্ডের যাত্রাপথ শেষ হয়নি। পাশাপাশি ভারতে এখনো পর্যন্ত শেষ চারে পৌঁছতে পারে। সেই পথ অত্যন্ত কঠিন হলেও একেবারে অসম্ভব নয়।
যদি নামিবিয়াকে ভারত বড় রানে হারাতে পারে এবং নিউজিল্যান্ডকে আফগানিস্তান পরাজিত করে, তাহলেই ভারতের জন্য সেমিফাইনালের দরজা খুলে যাবে। তাই ভারতের ভাগ্য এখন নির্ভর করছে শুধুমাত্র আফগানিস্তানের ওপরে। যদি আফগানিস্তান নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করে তাহলেই শুধুমাত্র ভারত শেষ চারে পৌঁছাতে পারে। তাই আগামী দুটি ম্যাচ ভারতীয় সাপোর্টার এবং ভারতীয় অধিনায়কের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।