গত ৩০ দিনে রাজ্যে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে ৩১ গুণ, দেশজুড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তার মধ্যেই মহামারী আবহে দেশের পাঁচ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। মাদ্রাজ হাইকোর্ট থেকে কলকাতা হাইকোর্ট, সকলের কটাক্ষের মুখে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা! তবে এর মধ্যেই আর কোনো ঝুঁকি নিতে রাজি নয় নির্বাচন কমিশন। কাজেই বড়ো ঘোষনা নির্বাচন কমিশনের।
করোনার এই বাড়বাড়ন্তের পরিস্থিতিতে ২ মে ফল ঘোষণার পর বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। খবর, ২মে কেরল, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও পুদুচেরি বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ২ মে ভোটগণনার সময় ও পরে কোনও বিজয় মিছিল করা যাবে না। অবশেষে কটাক্ষের মুখে, কড়া পদক্ষেপ করল কমিশনের। উল্লেখ্য, আগামী ২৯ এপ্রিল বাংলায় অষ্টম অর্থাৎ শেষ দফার ভোট। কিন্তু সংক্রমণের গ্রাফ বিপজ্জনকভাবে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় প্রার্থীদের প্রচারে কাটছাঁট করেছে নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, গতকালই মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করে বলেন, 'কমিশনের অফিসারদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা উচিত।' এখানেই শেষ নয়, ভোট গণনা স্থগিত রাখার ইঙ্গিত দিয়েছিল আদালত। আদালতের কথায়, 'কীভাবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায় তার একটি ব্লু প্রিন্ট জমা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। যদি তা না করা হয় সেক্ষেত্রে ভোটগণনা স্থগিত করে দেবে আদালত। আপনাদের জন্য সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি শিকার হতে দেব না।'