করোনাকে রুখে দেওয়ার চেষ্টায় দিনরাত প্রচেষ্টা করে চলেছেন স্বাস্থ্যকর্মী থেকে প্রশাসন। চলছে না লোকাল ট্রেন, এখনও সম্পূর্ণভাবে খোলেনি বাজার-দোকান-হাট। কিন্তু তার মাঝেই সরকারের নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বিপুল জমায়েত খোদ শাসক দলেরই কর্মীদের। বাঁকুড়া জেলার সদ্য নির্বাচিত দুই সাংগঠনিক সভাপতিকে এদিন সংবর্ধনা জানাতে বাঁকুড়ার কলেজ মোড় এলাকায় বিপুল সংখ্যায় তৃণমূল কর্মীবৃন্দ জড়ো হন। সেখান থেকে তাঁরা মিছিল করে তৃণমূল ভবনে যান।
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলায় আশাপ্রদ ফল করতে ব্যর্থ হয় তৃণমূল শিবির। সেখানের দুটি লোকসভা কেন্দ্রে ভরাডুবির পর জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব, জেলাকে দুটি সাংগঠনিক ভাগে ভাগ করে দুটি পৃথক সভাপতির পদ তৈরি করে। কিন্তু সেই পথে বেশিদিন না হেঁটে, এক জেলা এক নীতির পথেই ফিরে আসে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল। যদিও সেই পথেও বেশিদিন স্থায়ী হতে পারেননি তাঁরা। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে ১২ টির মধ্যে মাত্র ৪টি আসন পাওয়ায় আবার জেলা সভাপতির পদ থেকে শ্যামল সাঁতরাকে ছেঁটে ফেলে জেলাকে বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুর, এই দুই সাংগঠনিক জেলায় ভেঙে আবার দুজনকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হন দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র এবং বিষ্ণুপুরের দায়িত্ব পান বড়জোড়ার তৃণমূল বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায়। আর আজকে এই দুই সভাপতিকে সংবর্ধনা দিতেই বিশাল এই জমায়েত করে তৃণমূল কর্মীরা।
এদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারে হাজারে তৃণমূল সমর্থকরা জড়ো হন। কোভিড বিধি মানার নামমাত্র ছিল না এদিন কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শাসক শিবিরকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। তাঁদের কথায়, বিরোধী পক্ষ থেকে এমন মিছিলের আয়োজন করা হলে সেক্ষেত্রে কোভিড বিধির কারন দেখিয়ে পুলিশ জমায়েতে ছাড়পত্র দিত না। কিন্তু শাসক শিবিরের এমন জমায়েত দেখে মনে হচ্ছে তাঁদের কোভিড বিধি মেনে চলার কোনও দায় নেই।
যদিও পাল্টা দিতে ছাড়েননি তৃনমূলদের তরফ থেকে সদ্য নির্বাচিত সভাপতিরাও। তাঁদের কথায়, দলের কর্মীদের উচ্ছ্বাস এবং আবেগে লাগাম না দিতে পারার ফলেই এমন ঘটনা ঘটেছে।