দলবদলের পর প্রথম সভা থেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধনা করতে ছাড়লেন না শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর বক্তব্য, “বিজেপির আশ্রয় না পেলে উঠে যেত তৃণমূল।” অন্যদিকে, বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই শুভেন্দু অধিকারীকে একের পর এক আক্রমণ করেছে তৃণমূল। কোন শর্তে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগদান করেছেন তা প্রকাশ্যে আনার দাবিতেও সরব হয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র সৌগত রায়।
এরপরই বিজেপিতে যোগদানের কারণ প্রকাশ্যে আনেন শুভেন্দু। বলেন, "আমি যখন ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করার আগে অমিতজি, দিলীপদা, কৈলাসজির সঙ্গে বৈঠক করেছি। বলেছি কোনও শর্ত নেই, শর্ত একটাই, তোলাবাজ ভাইপোর থেকে বাংলাটাকে বাঁচান।"
এ বিষয়ে ক্রমশ নানান বির্তকের সৃষ্টি হয়েছে ইতিমধ্যেই। আর তার মধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট করে বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজনৈতিক দল ছেড়ে অন্য দলে যোগদান করতে গেলে যে নীতি নৈতিকতা অনুসরণ করতে হয় কোথাও তার ব্যতিক্রম করেননি তিনি।
তাঁর মতে, "রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে আমি আমার নৈতিকতা বিসর্জন দিইনি। গত ২৭ নভেম্বর আমি তিনটি দফতরের মন্ত্রিত্ব সহ যাবতীয় সরকারি পদে ইস্তফা দিয়েছি। আমি বিধানসভার সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। আমার পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। অন্য কোনও রাজনৈতিক দল আমাকে যদি সদস্যপদ দেয় আমি তা নিতে পারি। বহুদলীয় গণতন্ত্রে আমার রাইট আছে।"
এরপরই পুরনো দলের নেতাদের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, "গত তিন দিন ধরে আমাকে বিভিন্ন জায়গায় বিশ্বাসঘাতক, মিরজাফর বলছেন। বন্ধু তাদেরকে আমি প্রশ্ন করতে চাই, ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরে ৯৮-এর লোকসভা ভোট, ৯৯-এর বিধানসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কারা ছিল? সেদিন যদি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী, ভারতবর্ষের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবাণী তৃণমূল কংগ্রেসকে আশ্রয় না দিতেন এই পার্টিটা ২০০১ সালের আগে উঠে চলে যেত। এটা তো অস্বীকার করতে পারবেন না?"