কর্মীসভা থেকে নির্বাচন কমিশনকে তোপ দিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "সামসেরগঞ্জ আর জঙ্গিপাড়া দুটোই আমাদের জেতা সিট। কিন্তু কোভিড দেখিয়ে ইলেকশন করতে দেয়নি। এদিকে আট দফায় ভোট নিয়েছে কোভিড বাড়িয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আমাদের কথা কেউ শোনেনি। বারবার হুমকি দিয়েছে, ভোটের নামে। আপনারা হুমকির কথা শুনলে চমকে উঠবেন। আমি নন্দীগ্রাম নিয়ে কেস করেছি, জানেন নিশ্চয় প্রমাণ না থাকলে কোর্টে কেস করা যায় না। খালি ছাপ্পা করা হয়েছে ভোটে। অনেক অত্যাচার হয়েছে। কেউ শোনেনি আমার কথা। ওদের প্ল্যান আমিও জানি।"
এদিন তিনি আরও বলেন, "আজ তৃণমূল লড়ছে, তাই দলটাকে ভাঙার জন্য এজেন্সি দেখিয়ে জব্দ করছে।" এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তলব প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "মনে রাখবেন, শুধুমাত্র আমাকে আঘাত দেওয়ার জন্য অভিষেককে কেস দিচ্ছে। যে আসল চোর তার নাম নেই। যে টাকা নিল তার নামই নেই। আসলে দেশে গণতন্ত্র নেই। বিচারব্যবস্থাকে হাতে রেখে কাজ করছে। সাংবাদিকদেরও কথা বলার অধিকার নেই। আমাদের বাংলায় তো রোজ আসছেন, খাচ্ছে দাচ্ছে চলে যাচ্ছে। চোরের মায়ের বড়ো গলা। চাপের চপ কারা? নরেন্দ্র মোদী আর অমিত শাহ। যা পারছে করে যাচ্ছে। এখানকার কেস দিল্লিতে কেন নিয়ে গেলেন? কোন উদ্দেশ্যে কলকাতার কেস দিল্লিতে নিয়ে গেলেন? এসব বলতে আমাদের ঘরে ইডি, সিবিআই ঢুকিয়ে দেবেন। আলু আর আলুবোখরা এক হয়না। দেশটাকে একেবারে এজেন্সি দেখিয়ে, দানবীয় শক্তি দেখাচ্ছে। ওদের ব্যাপারে কথা বলতে গেলে ভাষা খুঁজে পাই না।"
তিনি আরও বলেন, "নির্বাচনের কথা হল, অভিষেককে হ্যারাস করতে ডাকল। পার্থ ডাক পেল। এর আগে বিনা কারণে ফিরহাদদের ডাকল। বিচারব্যবস্থাকে হাতে রেখে দিচ্ছে। রান্নায় গ্যাস নেই, বিজেপির দেখা নেই। দিল্লিতে এত ঝামেলা হচ্ছে, কখনও জানতে পেরেছেন কতজন খুন হল? সব চুপ।"
এরপরেই ভবানীপুর কেন্দ্র নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি কৃতজ্ঞ শোভনদেববাবুর কাছে। আর ভবানীপুরের মানুষ মনে প্রাণে চেয়েছেন বলেই, আমি আজ ফের নিজের ঘরের দলে। আসলে আমি ষড়যন্ত্রের বলি।" এছাড়াও ত্রিপুরার ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, "ত্রিপুরায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না একটা লোককে। রক্তাক্ত করা হচ্ছে। তাহলে আমাদের রাজ্যে কেন আসছেন? আপনাদের মনে আছে, এনআরসির কেসের সময় পাঁচজনকে আসাম পাঠিয়েছিলাম। ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। এয়ারপোর্ট থেকে বিদায় দেওয়া হল।"