তিনি সুন্দরবনের সুখ-দুঃখের সঙ্গী। সুন্দরবনের যেকোনো সমস্যায় যাঁকে আগে দেখা যায় তিনি আর কেউ নন কান্তি গাঙ্গুলি। নির্বাচনে তাঁর দল হেরেছে, তিনিও হেরেছেন। কিন্তু নির্বাচন পরবর্তীতে সুন্দরবনে কোভিড মোকাবিলায় তিনি সবার আগে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। ইএম বাইপাসের কাছে মুকুন্দপুরে রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনীতে তৈরি করেছেন ৫০ বেডের কোভিড সেফ হোম। যা কোভিড আক্রান্তদের পাশে নিয়ে কাজ করে চলেছে। কান্তি গাঙ্গুলি যাঁর মূল উদ্যোক্তা। এবার কোভিড মোকাবিলার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় যশ মোকাবিলায় আবার সুন্দরবন পাড়ি দিয়েছেন সুন্দরবনের অগ্রদূত কান্তি গাঙ্গুলি।
গতকাল তিনি জানিয়েছেন, কোভিড মোকাবিলার পাশাপাশি যশ মোকাবিলায় পুরোদস্তুর তৈরি। তিনি তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছেন, "আমি ফিরছি সুন্দরবনে ঝড়ের বিরুদ্ধে তৈরি হতে।" রাজ্য সরকার এবং মানুষের কাছে রেখেছেন দু'টি আবেদন। বলেছেন - প্রথমত, ফ্লাড শেল্টারে মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার আগে দেহের তাপমাত্রা দেখে নেয়া হোক ও অসুস্থ সাধারণ মানুষের জন্য আলাদা আশ্রয় তৈরী করা হোক, যাতে গ্রামে করোনা আরও ছড়িয়ে না যায়। দ্বিতীয়ত, মানুষ পানীয় ও দরকার পড়লে বৃষ্টির জল যেন জমা করে রাখেন কারণ বাঁধ ভাঙলে নোনা জল পানের অযোগ্য।
একের পর এক পরাজয় হয়েছে তাঁর। দলের পরাজয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। তারপরও হতাশ হননি। মানুষের পাশে দাঁড়াতে যে কোন দলের প্রয়োজন নেই, তিনি একাই যথেষ্ট এ কথা বারবার প্রমাণ করেছেন। গত বছর আমফানের সময় নিজে দাঁড়িয়ে থেকে রাস্তার গাছ কাটিয়েছেন। কখনও কখনও কোমর বেঁধে জলে নেমে মানুষের পাশে থেকেছেন। দুর্যোগ মোকাবিলায় নিজেই দায়িত্ব নিয়ে কাজে লেগেছেন। তাই যশ মোকাবিলায় সুন্দরবনের পাশে আবারও সেই একটাই নাম কান্তি গাঙ্গুলি।