আচমকাই মায়ের মৃত্যু। পাড়ার লোকজন হতবাক। গুণধর ছেলে বলে বেড়ায় সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে সকলেই তা বিশ্বাস করেও নেন। দায়ের হয় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা। প্রায় রেহাই পেয়ে গিয়েছিল গুণধর ছেলে। আচমকা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসতেই পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ। ঘটনার তদন্তে নেমে থ পুলিশ। নিজের ছেলেই মাকে খুন করে সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যুর গল্প ফেঁদেছিল। যদিও শেষরক্ষা হয়নি।
ঘটনাটি হাওড়ার (Howrah) সাঁকরাইলের চাঁপাতলার। ধৃত গুণধর ছেলের নাম সরোজ কাঁড়ার, যে পেশায় আদালতের মহুরি। মায়ের মৃত্যুর পর গল্প ফেঁদেছিল সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যুর কথা। প্রথমে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের হয়। পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতে দেখা যায় মায়ের শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। আসলে গোটা ঘটনার সঙ্গে জড়িত গুণধর ছেলে। পুলিশি জেরায় সে নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে বলে সূত্রের খবর।
এমন ঘটনার কারণ কী? মৃত মা শ্যামলী কাঁড়ার ছিলেন একজন অঙ্গনওয়াড়ীর কর্মী। ছেলে নেশাখোর। এই নিয়ে মা-ছেলের ঝগড়া লেগেই থাকত। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন ছেলে প্রথমে মাকে মারধর করে। পরে শ্বাসরোধ করে খুন করে বলে অভিযোগ। পরে বিপদ বুঝতে পেরে মায়ের সিঁড়ি থেকে পড়ে যাওয়ার গল্প বানায়। এমনকী নিজেই স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায় মাকে। জানায় মা সিঁড়ি থেকে পড়ে জ্ঞান হারিয়েছেন। যদিও ডাক্তার দেখে জানিয়ে দেয় তিনি মারা গিয়েছেন। দায়ের হয় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা। সব ঠিকঠাক চলছিল। প্রায় ছাড় পেয়ে গিয়েছিল গুণধর ছেলে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ পেতেই সব ঘটনা স্পষ্ট হয় পুলিশের। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরার মাকে খুন করার কথা স্বীকার করেছে বলে সূত্রের খবর।