সাঁতার শিখতে গিয়ে মৃত্যু হল বিদীপ্ত ঘোষ নামে ৯ বছরের এক শিশুর। সূত্রের খবর, হাওড়ার ডুমুরজলা স্বামীজী সংঘ ক্লাবে ক্রিকেট, ফুটবল বিভাগের পাশাপাশি সাঁতার প্রশিক্ষণের বিভাগ রয়েছে। প্রতিদিনের মতোই এদিনও সাঁতার শিখতে এসেছিল বিদীপ্ত ঘোষ। উপস্থিত ছিল আরও শিশু সহ প্রশিক্ষক। এরই মধ্যে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। হাওড়ার ডুমুরজলায় সুইমিং পুলে ডুবে মৃত্যু হয় এক শিশুর। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিশ।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই সুইমিং পুলে উপস্থিত ছিলেন প্রশিক্ষক। জলে বাচ্চারা সাঁতার কাটার সময় প্রশিক্ষকের সঙ্গেই এপার ওপার করছিল। এরই মধ্যে আচমকাই অসুস্থ বোধ করে বিদীপ্ত। ওই সাঁতার কেন্দ্রের কর্মীর কথায়, "জলে বাচ্চারা সাঁতার কাটার সময় প্রশিক্ষকদের সঙ্গেই এপার ওপার করছিল। একটা বাচ্চা এর মধ্যে ভেসে ওঠে। আমি সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাটাকে জল থেকে তুলে প্রাথমিক যা যা করার করি। মাউথ টু মাউথ থেকে শুরু করে যা যা করা যায়। তার পেট থেকে প্রচুর জল বের করি। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে আসি।"
প্রথমে বিদীপ্তকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রশিক্ষকের নজর এড়িয়ে কীভাবে ঘটল এই বিপত্তি? একসঙ্গে যদি বহু শিশু সাঁতার শেখে, সেখানে প্রশিক্ষক কতজন ছিলেন? শিশুদের জন্য আলাদা করে নিরাপত্তার কী কোনও ব্যবস্থা নেই? ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণকেন্দ্রের গাফিলতি নিয়ে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।
তবে এই গাফিলতির অভিযোগ একটি শিশুর মৃত্যুর পরে কেন উঠছে? অভিভাবকরা কেন এতদিন নজর দেননি গাফিলতির উপরে? প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এত গাফিলতি থাকলে, কেন শিশুদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়েও ওখানেই শিখতে হচ্ছে সাঁতার?