করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেই প্রয়োজন পড়ছে অ্যাম্বুলেন্সের। অ্যাম্বুলেন্স করে রোগী নিয়ে গেলেই হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে মোটা টাকার বিল। আর সেই বিল গুনতে রীতিমতো সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এ রকম একটি ঘটনা ঘটল এবার হুগলি কোন্নগরে। কোন্নগরের গৃহবধূ তনুশ্রী মজুমদার কে মর্মান্তিক একটি অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হলো। জানা যাচ্ছে, ওই মহিলার স্বামী করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে হিন্দমোটরের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কিছুদিন। তারপরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার স্বামীকে অন্যত্র নিয়ে যাবার কথা বলেন। সেইমতো দমদমের একটি সংস্থার থেকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেন তনুশ্রী দেবী।
সেই মতো তিনি কোন্নগর থেকে কলকাতায় আসেন তার স্বামীকে ভর্তি করানোর জন্য। কিন্তু তবুও একাধিক হাসপাতাল ঘুরেফিরে তিনি তার স্বামীকে ভর্তি করাতে পারেননি। তাকে ফিরে যেতে হয় কোন্নগরে। তখন অ্যাম্বুলেন্স চালক তার কাছ থেকে ৩৩ হাজার টাকা দাবি করেন। তারপরেই ওই মহিলার সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স চালকের তর্ক বেঁধে যায়। অবশেষে জানা যায় ওই মহিলা তার সোনার হার বন্ধক রেখে অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া মিটিয়েছেন। তনুশ্রী দেবী বলেছেন, অতন্ত ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। এমনটা হবে আমি আগে ভাবতে পারিনি। আমি যে কোনো মতে হোক সোনার গয়না বন্ধক রেখে ভাড়া মিটিয়ে শান্তি পেয়েছি। এদিকে করোনা কালে যে সমাজে কিছু মানুষ এর সুযোগ নিচ্ছে সেটা তো অস্বীকার করা যায় না। জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেছেন, এটা একটা ভয়ঙ্কর প্রবণতা। নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে প্রশাসন পদক্ষেপ গ্রহণ করুক, এটাই চাইছি।