ভরা সংসার। ছেলে এবার মাধ্যমিক দেবে, মেয়ে ক্লাস এইটে পড়ে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সামান্য ঝগড়া ছিলই, তবে এই ঝগড়া কোন পরিবারে আবার থাকে না! এই বয়সে স্বামী, সংসার, ছেলে-মেয়ে ছেড়ে দিয়ে ঘরের বউ যে প্রেমিকের হাত ধরে সংসার ছাড়বেন কে তা জানত!
ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের সাউতানচকের ঘটনা। সূত্রের খবর, নতুন করে ঘর বাঁধার স্বপ্নে নগদ টাকা, সোনার গহনা, এমনকী মেয়ের বিয়ের জন্য জমানো টাকা ও অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে চম্পট দিয়েছেন সেই মহিলা। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর থেকে দেড় লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন, সেই টাকাও নিয়ে গেছেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে থানায় দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁর স্বামী। অভিযোগ তুলেছেন স্ত্রীর কু-কীর্তির কথা।
কীভাবে প্রেমিকের সঙ্গে পরিচয়? মহিলার পরিবার সূত্রে খবর, লকডাউনের সময় মহিলার স্বামী কাজকর্ম হারিয়ে তমলুক-শ্রীরামপুর রোডে একটি ভাতের হোটেল খোলেন। স্বামী-স্ত্রী দু'জনেই সেই হোটেলটি চালাতেন। স্বামী হোটেল চালানোর পাশাপাশি কাঠের কাজ করতেন। তাই মাঝে মাঝেই হোটেল ছেড়ে কাজে যেতে হত। সেই সময় মহিলা একাই দোকান সামলাতেন। সেখানেই এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হয়। সেই ব্যক্তির বাড়ি ময়নার খেজুরতলা এলাকায়। ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এদিকে সেই মহিলা রোজ ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনে কথা বলতেন। এই নিয়ে সংসারে কম অশান্তি হয়। পরিবার সূত্রে খবর, সাউতানচকে লক্ষ্মী পুজো খুবই বিখ্যাত। প্রতি বছর গোটা এলাকায় লক্ষ্মী পুজোকে ঘিরে সাড়া পড়ে যায়। এলাকার রেওয়াজ পুজোকে উদ্দেশ্য করে লক্ষ্মীর ভান্ডারে টাকা জমানো। সেই টাকাও নাকি নিয়ে গেছেন মহিলা। ঘটনার পর পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন স্বামী। যদিও এখনও পর্যন্ত কারোরই সন্ধান পাওয়া যায়নি।
