বৃহস্পতিবার তালা পড়েছিল দিঘা, মন্দারমনি, তাজপুর, শঙ্করপুর-এর সমস্ত হোটেলে। দুদিন পরেই, অর্থাৎ শনিবার প্রশাসনের উদ্যোগে আবার খুলে গেল সমস্ত হোটেল। আর প্রশাসনের সাথে বৈঠকের পরই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন, হোটেলিয়ার্স আশ্যোসিয়েশন।
সমস্যার শুরু হয়েছিল, পর্যটকদের উপর করোনাবিধির কড়াকড়ির থেকে। গত ১২ই জুলাই কাঁথি মহকুমা প্রশাসন নির্দেশিকা জারি করেছিল, পর্যটকদের ডবল ডোজ সার্টিফিকেট বা আরটিপিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট থাকা বাধ্যতামূলক। তার পর থেকেই কার্যত পর্যটকশুন্যতার মুখ দেখে দিঘা-শঙ্করপুর। আর সেই থেকেই হোটেল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন হোটেলিয়ার্স আশ্যোসিয়েশন। সেই অচলাবস্থা কাটাতেই শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক, হোটেল মালিকদের সাথে বৈঠকে বসেন। যার ফলে আজ খুলে গেল সমস্ত হোটেল।
এ বিষয়ে দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স আশ্যোসিয়েশনের সম্পাদক সুশান্ত পাত্র বলেছেন, সমস্ত হোটেলেই থাকবে করোনা টেস্ট করার কিট। কেউ টেস্ট না করিয়ে এলে তাঁরা হোটেলেই টেস্ট করাতে পারবেন। পজিটিভ হলে তাঁদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হবে। তাঁদের এই উদ্যোগে জারাপনাই খুশি প্রশাসন।
এ বিষয়ে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের সহ সভাপতি তরুন জানা জানান, হোটেল মালিকদের এই শুভ উদ্যোগে দিঘায় আবার পর্যটক সংখ্যা বাড়বে। পাশাপাশি, পর্যটকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য লাগাতার মাইকিং করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। অপরদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি জানিয়েছেন, হোটেল মালিকদের দাবি অনুযায়ী সমস্ত হোটেল কর্মীকেই ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে। এ বিষয়ে তাঁরা স্বাস্থ্য দপ্তরের সাথে কথা বলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমস্ত হোটেলকর্মীকে টিকাপ্রদানের ব্যবস্থা করবেন।