বাঙালি একটু অবসর পেলেই 'দীপুদা'-র উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন। 'দীপুদা' অর্থাৎ দীঘা, পুরী ও দার্জিলিং। তবে পুরী কিংবা দার্জিলিং যেতে সামান্য ঝক্কি পোহাতে হলেও দীঘা (Digha) একেবারে ঘরের কাছে। কলকাতা থেকে ঘন্টা চারেকের পথ। তাই উইকেন্ডে দিন দুয়েকের ছুটি পেলেই দীঘায় গিয়ে ঘুরে আসা চাই-ই চাই। স্বল্প খরচে, কম সময়ে এরচেয়ে ভালো ঠিকানা বাঙালির আর কীই-বা হতে পারে!
দীঘা গিয়ে সমুদ্রস্নান তো আছেই, সী বীচে ঘুরে বেড়ানো, টাটকা সামুদ্রিক মাছের ফ্রাই, সঙ্গে ঘোড়ার পিঠে চেপে ফটোসেশন চলতেই থাকে। এবার দূষণরোধে এবং সমুদ্রের তটভূমির পরিচ্ছন্নতা রক্ষার্থে দীঘার সমুদ্র সৈকতে এবার ঘোড়া চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল প্রশাসন। দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থা (DSDA) তরফে স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে যে পর্যটক সুরক্ষা এবং দীঘার সমুদ্র সৈকতের দূষণরোধে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্পষ্ট বলা হয়েছে, সমুদ্র সৈকতে ঘোড়ার প্রবেশ চলবে না।
সমুদ্র সৈকতে ঘোড়া প্রবেশের ফলে ঠিক কী কী সমস্যা হচ্ছিল? সূত্রের খবর, সমুদ্র সৈকতে ঘোড়ার বিষ্ঠা অত্যন্ত নোংরা করছে। সেই বিষ্ঠা ফের সমুদ্রের চলে গিয়ে মিশছে। আর ঘোড়ার বিষ্ঠা অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাছাড়া ঘোড়া চলাচলের ফলে পর্যটকদের যাতায়াতেও নাকি অসুবিধা হয় বলে এমন অভিযোগ উঠেছে। ঘোড়ার সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটার নজিরও নাকি বর্তমান। এমন অবস্থায় দূষণরোধ এবং সর্বোপরি দীঘা সৈকতের সার্বিক সৌন্দর্য ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে এমন সিদ্ধান্ত বলে খবর।
উল্লেখ্য, এই সিদ্ধান্তের পরেই দীঘার সমুদ্র সৈকতের ঘোড়া ব্যবসায়ীরা তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। বিকল্প আয়ের উৎস তৈরি করে না দিলে সেই সমস্ত ব্যবসায়ীদের যে না খেয়ে মরতে হবে, এমন অভিযোগও করেছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই দীঘাতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের তুঘলকি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাঁরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন।