নাতনি ছাড়া দাদুর এক মুহূর্ত কাটে না। দাদু যেখানে, নাতনিও সেখানে। সেই নাতনিকে খুশি করতে গিয়ে পুকুরে নেমে স্নানের সময় মুখের ভেতর রেখেছিলেন আস্ত কইমাছ। সেই মাছ কখন যে গলায় চলে গেছে, কে তা জানত! কইমাছ শ্বাসনালিতে আটকে বেঘোরে প্রাণ দিলেন এক দাদু।
ঘটনাটি হুগলির (Hooghly) খানাকুলের নতিবপুরের। কইমাছ শ্বাসনালিতে আটকে মারা গেলেন বছর ৪৭-র রতিকান্ত ভুঁইয়া। সূত্রের খবর, বাড়ির পাশের পুকুরে স্নান করতে নেমেছিলেন তিনি। পাড়ে বসে ছিল বছর আটেকের নাতনি। আচমকাই তিনি একটি কইমাছ ধরে মুখে রাখেন। তা দেখে ছোট্ট নাতনির খুশির শেষ নেই। হঠাৎ-ই দেখা যায় কইমাছটি রতিকান্ত বাবুর মুখে ঢুকে গেছে। তিনি বার করতে পারেননি। ততক্ষণে কইমাছটি শ্বাসনালিতে আটকে। বেঁহুশ হয়ে তিনি জলে ডুবে যান। দাদুকে জল থেকে উঠতে না দেখে ছোট্ট নাতনি চিৎকার শুরু করে। বাড়ির লোকজন এসে তাঁকে জল থেকে উদ্ধার করেন। ততক্ষণে তিনি অচেতন।
বাড়ির লোকজন তড়িঘড়ি স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। তখনও মাছটি দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কিছুই করার ছিল না। রতিকান্ত বাবুকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এদিকে মাঝপথে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বাধ্য হয়ে পথিমধ্যে হাওড়ার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও রতিকান্ত বাবুকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া।
উল্লেখ্য, চলতি মাসেই পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) চন্ডীপুর এলাকার নছিপুর গ্রামে মাছ ধরেছিলেন বছর চল্লিশের তাপস মাইতি। মাছ ধরতে ধরতে অনেক সময় মুখেই ঠোঁট চেপে রেখে দেন তিনি। তারপর ছুঁড়ে মারেন ডাঙায়। এদিন তেমনই মুখে চেপে রেখেছিলেন আস্ত একটি কইমাছ। সব ঠিকঠাকই ছিল, কিন্তু আচমকাই সেই কইমাছ তাপসবাবুর গলায় আটকে গিয়েছিল। শুরু হয়েছিল রক্তক্ষরণ। যদিও সে যাত্রায় তাপস মাইতি বেঁচে গিয়েছিলেন, কিন্তু খানাকুলের রতিকান্ত ভুঁইয়া বেঘোরে প্রাণ দিলেন।